
খুলনা প্রতিনিধি:
খুলনায় পুলিশ ও ছাত্রদল পরিচয়ে মারপিট, চাঁদাবাজির অভিযোগে চার যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় সোনাডাঙ্গা থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী ইখতিয়ার উদ্দিন সুমন বাদী হয়ে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানায় গত বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় গ্রেপ্তার চারজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন—খুলনা সিটি কলেজের প্রাক্তন ছাত্র মাসুদ রানা (২৩), বাগেরহাট পিসি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ফয়সাল মাহমুদ (২৪), সুন্দরবন আদর্শ কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র সালাউদ্দিন (২৬) ও একই কলেজের ছাত্র রিফাত পারভেজ রাফি (২১)।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার রাতে খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন আন্দিরঘাট রোডে জনৈক ইখতিয়ার উদ্দিন সুমন ঢালীর বাড়িতে চার যুবক প্রথমে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ঘরে ঢুকে অনলাইন জুয়ার অভিযোগ এনে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
সুমন ঢালী জানান, চারজন আসামি তার বাসায় গিয়ে প্রথমে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তার ঘরে ঢোকে। এরপর নিজেদেরকে ছাত্রদলের পরিচয় দিয়ে বলে “তুই অনলাইন জুয়ার বোর্ড চালাস, আমাদেরকে ২ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে।” তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে আসামিরা তাকে মারপিট করেন। পরে ভয়-ভীতি দেখিয়ে তার কাছ থেকে দুই জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, একটি স্বর্ণের রিং, একটি ল্যাপটপ এবং তিনটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন। এ সময় সুমন ঢালীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে এবং তাদেরকে ঘরের ভেতরে আটক করে তারা ৯৯৯ নম্বরে কল করেন। সংবাদ পেয়ে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পুলিশকে সহযোগিতায় ছুটে আসে সেনাবাহিনী। এ সময় পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করে এবং তাদের কাছ থেকে ছিনতাই করা মালামাল উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর বয়রা আন্দিরপুকুর এলাকার সুমনের বাড়ি থেকে ওই চারজনকে আটক করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (দক্ষিণ) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, এ ঘটনায় সোনাডাঙ্গা থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশের এস আই শাহাদাত হোসেন বলেন, আটক চারজনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।