প্রকৃত পরিচয়ের পর জায়েদকে হস্তান্তরের চিন্তা হাসপাতাল ও পুলিশ কর্তৃপক্ষের
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
জেলা প্রতিনিধি,ময়মনসিংহঃ
ময়মনসিংহের ভালুকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত জায়েদার লাশ রোববার (১২ মে) সন্ধ্যায় ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দেড় বছরের শিশুপুত্র জায়েদ এখনও ‘মা মা’ কেঁদেই চলছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ প্রশাসন শিশুপুত্র জায়েদের প্রকৃত অভিভাবকের সন্ধান করছেন। এরপরই তাকে তার স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভালুকার স্কয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন জায়েদা (৩২) ও তার শিশুপুত্র জায়েদ। ভোররাতে কে বা কারা তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাতে জায়েদার মৃত্যু হয়। হাসপাতালে ভর্তি শিশু জায়েদ। ঘটনার পর থেকে তাদের পরিচয় মিলছিল না। স্বজনের খোঁজে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিশুটির ছবি পোস্ট করেন অনেকে। শিশুটির কান্নার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অবশেষে শনিবার রাতে স্বজনের খোঁজ মেলে। জায়েদা সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার কুশিউড়া গ্রামের রমিজ উদ্দিনের মেয়ে। ছেলে জায়েদকে নিয়ে তিনি ময়মনসিংহের ভালুকার স্কয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় থাকতেন।
শিশুটিকে হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে এবং তার মাকে ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে জায়েদা মারা যান। পরে তার লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়। তবে শিশুটির ভর্তির খবর পেয়ে অনেকেই শিশুটির খবর নিতে হাসপাতালে ছুটে আসেন। এদিকে জায়েদার মৃত্যুর ঘটনায় ভরাডোবা হাইওয়ে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে অজ্ঞাত গাড়ির বিরুদ্ধে রোববার কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। পুলিশ জায়েদার ময়নাতদন্ত শেষে ভাই রবিন মিয়ার কাছে হন্তান্তর করেছে। তবে লাশ হন্তান্তর করলেও শিশু জায়েদকে হস্তান্তর করা হয়নি।
ভালুকার ভরাডোবা হাইওয়ে থানার ওসি মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনাতেই নারীর মৃত্যু ও শিশুটি আহত হয়েছে, প্রাথমিক তদন্ত ও প্রত্যক্ষদর্শীদের মাধ্যমে এমনটিই জানা গেছে। বিষয়টি নিয়ে থানায় সড়ক পরিবহন আইনে মামলা করা হয়েছে।’ সমাজসেবা অধিপ্তরের ময়মনসিংহের উপ-পরিচালক আ. কাইয়ুম বলেন, ‘বিষয়টি যেহেতু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসেছে- অনেকে পরিচয় দিয়ে শিশুটিকে নিতে আসতে পারে। প্রমাণ সাপেক্ষে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হবে।