প্রতারণা মামলায় যশোরের সাবেক মেয়রের দেড় বছর কারাদণ্ড

প্রকাশিত: ৩:৫৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৭, ২০২৫

নিজেস্ব প্রতিবেদক:

 

প্রতারণা মামলায় যশোরের সাবেক পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গণি খান পলাশকে দেড় বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৬ এপ্রিল) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক গোলাম কিবরিয়া শুনানি শেষে এ রায় দেন।

সাজাপ্রাপ্ত হায়দার গণি খান পলাশ শহরের ঘোপ পিলুখান সড়কের মরহুম ওসমান গণি খানের ছেলে।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০০৪ সালের শেষ দিকে হায়দার গণি খান পলাশ উপশহর এফ-ব্লকের ৮৩/১ বাড়ির ২ দশমিক ৯৩ শতক জমি বিক্রির ইচ্ছা প্রকাশ করেন। একই ব্লকের ১১১ নম্বর বাড়ির মালিক আমজাদ হোসেনের স্ত্রী সুফিয়া খাতুন জমিটি ক্রয় করতে চান। এরপর তিনি হায়দার গণি খান পলাশের সঙ্গে কথা বলে জমিটি সাড়ে ৪ লাখ টাকায় কিনতে সম্মত হন। ওই বছরের ৯ অক্টোবর হায়দার গণি খান পলাশ বায়না হিসেবে ৬০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন এবং নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে চুক্তিনামা এফিডেভিট করে দেন।

এরপর সুফিয়া খাতুন সরল বিশ্বাসে বাকি ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকাও পরিশোধ করেন। কিন্তু হায়দার গণি খান পলাশ জমি রেজিস্ট্রি করে না দিয়ে ঘোরাতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি ২০০৫ সালের ১৪ মার্চ এফিডেভিটের মাধ্যমে একটি আমমোক্তারনামা করে জমির দখল বুঝিয়ে দেন সুফিয়া খাতুনকে।

সুফিয়া খাতুন এ জমির দখল পেয়ে বাড়ি ও দোকান ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দেন। কয়েক মাস যেতে না যেতে হায়দার গণি খান পলাশ ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে জোর করে ভাড়া আদায় শুরু করেন। ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি এক সালিশে হায়দার গণি খান পলাশ জমির দখল ছাড়বে না বলে জানিয়ে দেন।

বিষয়টি মীমাংসায় ব্যর্থ হয়ে সুফিয়া খাতুন ওই বছরের ২৮ জানুয়ারি হায়দার গণি খান পলাশকে আসামি করে আদালতে প্রতারণা মামলা করেন।

এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি হায়দার গণি খান পলাশের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের বিচারক তাকে দেড় বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। তবে সাজাপ্রাপ্ত হায়দার গণি খান পলাশ পলাতক রয়েছে।