দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) নিয়োগের ক্ষেত্রে সব ধরনের তদবির-দুর্নীতির পথ বন্ধ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। দুদকের কর্মচারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যেভাবে ঘুষ-দুর্নীতি-তদবির ছাড়া চাকরি পেয়েছেন, সেভাবে চাকরিচ্যুত করার পর তদবিরে কোনও কাজ হবে না। প্রথম অপরাধই হবে শেষ অপরাধ। দ্বিতীয়বারের জন্য কোনও সুযোগ পাবেন না। এটাই হবে দুদকের প্রশাসনিক কৌশল।’ বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সেগুনবাগিচায় সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে নতুন যোগদান করা কর্মচারীদের ওরিয়েন্টেশন কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘এই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের অনৈতিক কাজ করার কোনও সুযোগ নেই। মানুষের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা যাবে না। এর ব্যত্যয় ঘটলে চাকরি হারাতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘নিয়োগ-প্রক্রিয়ার শুরুতেই সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে, কেউ তদবির করলে বা তদবির শুনলে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে। যে কারণে দুদকে নিয়োগের ক্ষেত্রে কেউ তদবির করার সাহস পায় না। তদবির ছাড়াই নিয়োগ হচ্ছে।’
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি কর্মীই গুরুত্বপূর্ণ। যে কারও দায়িত্বের শৈথিল্য প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে। আমরা সবাই ২৪ ঘণ্টার জন্যই নিয়োগপ্রাপ্ত। তাই গভীর রাতে অভিযানে যেতে পরাবো না—এমন আচরণ করার কোনও সুযোগ নেই। যখন নির্দেশনা আসবে, ঠিক তখনই যেতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা তদবির-ঘুষ ছাড়া চাকরি পেয়েছেন। কোনও অপকর্মে জড়িয়ে পড়বেন না। আপনাদের নৈতিকতার পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এই মানদণ্ড বজায় রাখতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, এ এফ এম আমিনুল ইসলাম, দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত, মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. জহির রায়হান ও মহাপরিচালক (প্রশিক্ষণ ও আইসিটি) এ কে এম সোহেল।
ওরিয়েন্টেশন কোর্সে তিন ক্যাটাগরিতে নতুন যোগ দেওয়া ২৯ জন কর্মচারী প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।