তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের নেতা নন, বিশ্বনেতায় রূপান্তরিত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় বিএনপি’র মহাসচিবসহ অন্যান্য নেতারা বিশ্বময় বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে গ্রহণযোগ্যতা, তার প্রতি বিশ্বনেতৃবৃন্দের এবং বিশ্বঅঙ্গনের যে আস্থা, সেটি বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন।’
আজ দুপুরে চট্টগ্রামে বেসরকারি ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির সেশন প্রারম্ভ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে বিএনপি নেতাদের সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে অত্যন্ত সফল সফর করে এসেছেন। পদ্মা সেতু থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া বিশ্বব্যাংক নিজেরাই বাংলাদেশকে ২.২৫ বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রস্তাব করেছে। জাপান বিভিন্ন প্রকল্পে ৩০ বিলিয়ন ইয়েন সাহায্য করবে। আর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করে বলেছেন যে, আপনি আমাদের আইডল, আমার মেয়েদেরও আইডল। আর বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক নিয়ে ১৬ মে জাতিসংঘ ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ প্রস্তাব এনে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে, সেই প্রস্তাব বাংলাদেশের সাথে ৭১টি দেশ কো-স্পন্সর করেছে যা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এরপর জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর সরকারের গ্রহণযোগ্যতা বিশ্বময় আছে কি না তা বলার কোনো প্রয়োজন নেই। যাদের বুদ্ধি, বোধশক্তি আছে, তারা এগুলো বুঝতে পারে, শুধু বিএনপি নেতারাই তা বোঝেন না। দৃষ্টিহীনতা ও শ্রবণহীনতার সাথে তারা বোধশক্তিহীনও হয়ে গেলেন কি না সেটি আমার বোধগম্য নয়।’
বিএনপির আন্দোলন প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, গাড়ি বসে গেলে সেটিকে মাঝে মধ্যে যেমন স্টার্ট দিতে হয়, বিএনপির আন্দোলনের কর্মসূচিও সেরকম। কারণ বিএনপি দলটাইতো বসে গেছে। যাতে জং ধরে না যায়, সেজন্য মাঝে মধ্যে স্টার্ট দেয়ার মতো তারা আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়। এছাড়া অন্য কোন কিছু নয়।
এর আগে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির সেশন শুরু অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান বলেন, ‘শুধু পাঠদান আর সার্টিফিকেট প্রদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বহুমাত্রিক মেধার বিকাশ ঘটানো, জীবন গড়া, জীবন সংগ্রামে উজান ঠেলে সামনের দিকে এগিয়ে জয়ী হওয়া শেখাতে হবে। আশা করি, এই বিশ্ববিদ্যালয় সেটি পারবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সিকান্দর খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সাঈদ আল নোমান। রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়ুয়া স্বাগত বক্তব্য রাখেন।