প্রবল চাপে পিছু হটলেন জার্মান চ্যান্সেলর

প্রকাশিত: ১:৩২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১১, ২০২৪

ডেস্ক রিপোর্ট:

প্রবল চাপের মুখে এবার সুর পাল্টালেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস। শেষমেশ তিনি বড়দিনের আগেই আস্থাভোট নিতে রাজি হয়েছেন। খবর ডয়চে ভেলের।
রোববার (১০ নভেম্বর) শলৎস জানান, তিনি বড়দিনের আগেই আস্থাভোটে রাজি আছেন। জার্মানির সরকারি ব্রডকাস্টার এআরডি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শলৎস বলেন, যদি সকলে একমত হন, তাহলে বড়দিনের আগে আস্থাভোট নিতে আমার কোনো অসুবিধা নেই। আমি ক্ষমতায় সেঁটে বসে থাকতে চাই না।
গত সপ্তাহে শলৎসের নেতৃত্বে তিন দলের ক্ষমতাসীন জোট ভেঙে গেছে। দেশটির অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনারকে বরখাস্ত করেন চ্যান্সেলর শলৎস। এখন নির্বাচনের প্রস্তুতির আগে আস্থাভোট নেওয়াটা জরুরি।

ওলাফ শলৎস প্রথমে জানিয়েছিলেন, তিনি আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারি আস্থাভোট নেবেন। কিন্তু তারপর প্রবল চাপের মুখে পড়ে তিনি আস্থাভোট এগিয়ে আনতে সম্মত হয়েছেন।
ওলাফ শলৎস জানান, তিনি এই জোট ভাঙার জন্য দায়ী নন। তিনি কোনোরকম উসকানি দেননি বরং তিনি শেষ সময় পর্যন্ত চেষ্টা করেছিলেন, যাতে এসপিডি, গ্রিন ও এফডিপি-র জোট অটুট থাকে।

শলৎস বলেন, আমি সহযোগিতা ও সমঝোতার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কিছু সময় খুবই খারাপ ধরনের খেলা হয়েছে। কিন্তু এখন সব শেষ হয়ে গেছে।

দেশটিতে সরকারের আর্থিক নীতি নিয়ে জোটের মধ্যে বিরোধ চরমে ওঠে। তার পরিণতিতে লিন্ডনারকে বরখাস্ত করেন শলৎস। এর ফলে জোটে শলৎসের সোস্যাল ডেমোক্র্যাট ও গ্রিন পার্টি থেকে যায়।

শলৎস বলেন, সরকার যে এতদিন ধরে টিকেছিল, তার পিছনে আমার সহযোগিতা ও সমঝোতা দায়ী। না হলে তা এতদিন টিকে থাকা দূরস্থান, জোটই হতো না। তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনারকে বরখাস্ত করাটা স্পষ্ট ও নির্ণায়ক সিদ্ধান্ত।

ডয়চে ভেলে আস্থাভোটে শলৎস সম্ভবত হারবেন। তখন জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার ২১ দিনের মধ্যে বুন্দেসটাগ ভেঙে দেবেন। তার ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে।