প্রবাসীকে হত্যার পর ককটেল বিস্ফোরণে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে: র‌্যাব

প্রকাশিত: ৮:১৯ অপরাহ্ণ, জুন ২২, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মুন্সীগঞ্জের সদর এলাকায় ১৫-২০ জনের একটি দল নিয়ে ঘরে ঢুকে প্রবাসী মো. শ্যামল ব্যাপারীকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে শাহাদাত বেপারী। পরে গুলি করে ও ককটেল বিস্ফোরণে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে তারা। আজ বৃহস্পতিবার (২২ জুন) রাজধানীর কাওরান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

এর আগে, এ ঘটনায় বুধবার (২১ জুন) রাতে‌ মুন্সীগঞ্জ সদর এলাকা থেকে বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রসহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। তারা হলেন– শাহাদাত বেপারী (৪৫), তার ছেলে মহিউদ্দিন বেপারী (২০) এবং হায়াতুন ইসলাম (৩২)। গ্রেফতার ব্যক্তিরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য দিয়েছে বলে জানায় র‌্যাব।

খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়, গত ১৪ জুন রাতে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আগ্নেয়াস্ত্র-ধারালো অস্ত্র নিয়ে শ্যামলকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে শাহাদাত বেপারী এবং তার সহযোগীরা। এলাকায় ট্রলার ঘাটের ইজারা, নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন, আধিপত্য বিস্তার এবং জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে শ্যামলের আত্মীয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে শাহাদাতের বিরোধ চলছিল। পাঁচ-ছয় মাস আগে শ্যামলের আত্মীয়ের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিষয় এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শাহাদাতের বাকবিতণ্ডা হয়। এর জেরে শ্যামলের সঙ্গেও বাকবিতণ্ডা হয় শাহাদাতের। গত ফেব্রুয়ারি স্থানীয় বাজারের ফার্মেসিতে শ্যামলের ভাইদের কুপিয়ে জখম করে শাহাদাত ও তার লোকজন। ওই ঘটনায় শ্যামল বাদী হয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় শাহাদাত, তার ছেলে মহিউদ্দিনসহ অন্য সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।’

তিনি জানান, ওই মামলায় গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যায় শাহাদাত। কিন্তু মহিউদ্দিন ও শাহাদতের এক সহযোগী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়। পরে তারা আদালতে জামিন পায়। আত্মগোপনে থাকাকালীন সময়ে শ্যামলকে হত্যার পরিকল্পনা করে শাহাদাত। পরিকল্পনা অনুযায়ী আগে থেকেই আগ্নেয়াস্ত্র, ককটেল ও ধাড়ালো অস্ত্র সংগ্রহে রাখে।

র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘১৪ জুন রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে লোকজন নিয়ে শ্যামলের বাড়ি চারদিক থেকে ঘেরাও করে হামলা চালায় শাহাদাত ও তার লোকজন। ঘরে ঢুকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি করে এবং ধাড়ালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে শ্যামলকে হত্যা করে তারা। ঘটনার পর তারা আত্মগোপনে চলে যায়।’

খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে চাকরি করতেন শ্যামল। দেশে ফিরে ২০১০ সালে পুনরায় মধ্যপ্রাচ্যের অন্য একটি দেশে যান। পরে ২০২২ সালের জুলাইয়ে তিনি দেশে ফিরে আসেন।