ক্রীড়া ডেস্ক:
বাংলাদেশের দাবার সর্বকনিষ্ঠ গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হোসেন রাজীব। দাবা খেলা ও কোচিং দুটোই করতেন রাজীব। গতকাল তিনি সপরিবারে ইংল্যান্ডের পোর্টসমাউথে পৌঁছেছেন। তার স্ত্রী মুনতাহা রুম্মান অর্থি ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞানের ওপর এমফিল করবেন। সেই সূত্রেই মূলত রাজীব ইংল্যান্ডে থাকবেন।
রাজীবের স্ত্রীর পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এমফিল কোর্স এক বছরের। এই সময়টা ইংল্যান্ডে থাকলেও বাংলাদেশে এসে খেলার চেষ্টা থাকবে গ্র্যান্ডমাস্টারের। ‘বাংলাদেশে গত কয়েক বছর লিগ ও ন্যাশনাল ছাড়া তো তেমন কোনো টুর্নামেন্ট হয়নি। এই বছর ন্যাশনাল হয়তো বছরের শেষ দিকে হতে পারে। খেলার ইচ্ছে আছে এখনো। নির্ভর করবে সময়-সুযোগের ওপর’, বলেন রাজীব।
আগামী মাসে এশিয়ান জোনাল দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ রয়েছে শ্রীলঙ্কায়। এই টুর্নামেন্টে বিশ্বকাপ দাবার বাছাইও। রাজীব এই টুর্নামেন্টে না খেলারই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ‘মার্চের টুর্নামেন্টটি খেলা সম্ভব হবে না। এপ্রিলে আরেকটি টুর্নামেন্ট রয়েছে সেটি হয়তো খেলতে পারি।’
ফুটবল, ক্রিকেটের বাইরে অন্য খেলার ক্রীড়াবিদরা তেমন আর্থিকভাবে সাবলম্বী নন। তাই গ্র্যান্ডমাস্টার রাজীবকে নিজের খেলার পাশাপাশি কোচিংও করাতে হয়েছে। জিয়াউর রহমান প্রয়াত হওয়ার পর বাংলাদেশের উঠতি দাবাড়ুদের অন্যতম প্রধান শিক্ষকই ছিলেন রাজীব। ইংল্যান্ড চলে যাওয়ায় বাংলাদেশের অনেক দাবাড়ুর শিক্ষায় ব্যাঘাত ঘটবে। এরপরও অনলাইনে ক্লাস নেয়ার চেষ্টা রয়েছে রাজীবের, ‘দাবায় অনলাইন ক্লাস বেশ জনপ্রিয় এবং গ্রহণযোগ্য। তবে অবশ্যই সশরীরে ছাত্র-শিক্ষক উপস্থিতির আলাদা গুরুত্ব ও গভীরতা। এরপরও অনলাইনে কোচিং চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব।’
অনেক তারকা ক্রীড়াবিদই প্রবাস জীবন বেছে নিয়েছেন। রাজীব এখনো সেই রকম সিদ্ধান্তে পৌঁছাননি, ‘অর্থি (স্ত্রী) এমফিল আগে শেষ করুক। এরপর আমরা পরের পরিকল্পনা করব। দেশে ফেরারও ভাবনা আছে, আবার এখানে ভালো সুযোগ পেলেও কিছু করার সম্ভাবনা রয়েছে। সব কিছু নির্ভর করছে এমফিল শেষের পর।’
রাজীবের স্ত্রী মুনতাহা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আরেকটি স্নাতকোত্তর করেছেন। এখন ইংল্যান্ডে এমফিল গবেষণায় গেছেন। ওয়াটার বডি নিয়ে এই গবেষণা বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ।
দাবা ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক তৈয়বুর রহমান সুমন রাজীবের আত্মীয়। রাজীবের ‘আধা’ প্রবাস জীবন নিয়ে তিনি বলেন, ‘দাবা ফেডারেশনের খেলোয়াড়দের সঙ্গে কেন্দ্রীয় কোনো চুক্তি নেই। তাই ফেডারেশনকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে যাওয়ার কিছু নেই। তবে তিনি আমাদের অনানুষ্ঠাকিভাবে বলেছেন। সময়-সুযোগ পেলে জাতীয় ও প্রিমিয়ার এই দুই আসর খেলার চেষ্টা করবে। ইউরোপেও মাঝে মধ্যে কিছু টুর্নামেন্ট খেলার পরিকল্পনা রয়েছে তার।’
হাঙেরী-জার্মানিতে প্রায়ই বড় বড় দাবা টুর্নামেন্ট হয়। ইংল্যান্ড ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে হওয়ায় ঐ সব দেশে খেলতে হলে রাজীবকে সেনজেন ভিসা নিতে হবে। তাই রাজীবের প্রাথমিক পরিকল্পনায় ইংল্যান্ডের মধ্যেই খেলার, ‘ইউরোপে অনেক টুর্নামেন্ট হয় বছর জুড়ে। ইংল্যান্ড ইইউয়ের বাইরে হওয়ায় ভিসা একটি ইস্যু। ইংল্যান্ডেও টুর্নামেন্ট হয় তবে কম। চেষ্টা থাকবে কিছু টুর্নামেন্ট এখানে খেলে রেটিং বৃদ্ধি করার।’
হাঙেরী-জার্মানিতে প্রায়ই বড় বড় দাবা টুর্নামেন্ট হয়। ইংল্যান্ড ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে হওয়ায় ঐ সব দেশে খেলতে হলে রাজীবকে সেনজেন ভিসা নিতে হবে। তাই রাজীবের প্রাথমিক পরিকল্পনায় ইংল্যান্ডের মধ্যেই খেলার, ‘ইউরোপে অনেক টুর্নামেন্ট হয় বছর জুড়ে। ইংল্যান্ড ইইউয়ের বাইরে হওয়ায় ভিসা একটি ইস্যু। ইংল্যান্ডেও টুর্নামেন্ট হয় তবে কম। চেষ্টা থাকবে কিছু টুর্নামেন্ট এখানে খেলে রেটিং বৃদ্ধি করার।’