‘প্রযুক্তি গ্রহণে বিচ্ছিন্নতার পরিবর্তে দরকার আঞ্চলিক সমন্বয়’

প্রকাশিত: ৪:৪১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৮, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী বলেছেন, ফাইভজি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি গ্রহণে বিচ্ছিন্নভাবে পদক্ষেপ না নিয়ে আঞ্চলিক সমন্বয়ের মাধ্যমে অগ্রসর হওয়া প্রয়োজন। এতে করে জাতীয় অগ্রগতি ত্বরান্বিত হবে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দক্ষিণ এশীয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর অংশগ্রহণে ঢাকায় শুরু হওয়া পলিসি, রেগুলেশন ও সেবা সংক্রান্ত তিনদিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, প্রতিবেশী অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও মোবাইল কাভারেজ সম্প্রসারণ, পরিষেবা ডিজিটালাইজেশন এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জন করেছে। এই কর্মশালায় একে অপরের চ্যালেঞ্জ এবং সাফল্য থেকে অর্জিত অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান বিনিময় ভবিষ্যতে একসঙ্গে গতিপথ তৈরিতে ভূমিকা রাখবে।

এর আগে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব। তিনি বলেন, প্রযুক্তির পরিবর্তনের সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিটি দেশই প্রায় একই ধরনের সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। টেলিকম শিল্পেও ব্যাপক পরিবর্তন আসছে এবং নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ছে। ফলে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের জন্য আমাদের মানসম্মত গ্রাহক সেবা ও ডিজিটাল সার্ভিস নিশ্চিতে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে পশ্চিমা বিশ্বের চেয়ে দক্ষিণ এশিয়ার রেগুলেটরি চ্যালেঞ্জ সবচেয়ে বেশি। ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব আরও বলেন, ডিজিটাল রূপান্তরে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করতে নানা চ্যালেঞ্জে রয়েছে। এসব বিষয় চিহ্নিত করে আমাদের সুযোগ গুলো খুঁজে বের করতে হবে। এজন্য সবাই মিলে একটি উত্তম নীতি প্রণয়নের বিকল্প নেই।

বিটিআরসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কর্মশালায় আয়োজক বাংলাদেশসহ ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, আফগানিস্তান, মালদ্বীপ এবং ইরানের টেলিযোগাযোগ ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক রেগুলেটরি সংস্থার প্রতিনিধিগণ, টেলিকম অপারেটর, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা, টেলিকম ও তথ্যপ্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের প্রায় ২০০ প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করছেন। এশিয়া প্যাসিফিক টেলিকমিউনিটির (এপিটি) সহযোগী সদস্য প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে অংশগ্রহণ করেছে চায়নার হুওয়ায়ে টেকনোলজিস, অ্যামাজন ইন্ডিয়া, সিঙ্গাপুরের ইন্টারনেট সোসাইটি এশিয়া লিমিটেড এবং বেলজিয়ামের কুলেন ইন্টারন্যাশনাল।

এসময় এশিয়া-প্যাসিফিক টেলিকমিউনিটির মহাসচিব মাসানরি কুণ্ড এবং পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন অথরিটির সদস্য ও এসএটিআরসি ওয়ার্কশপ অন পলিসি, রেগুলেশন অ্যান্ড সার্ভিসেসের সভাপতি ড. খাওয়ার সিদ্দিক খোকার উপস্থিত ছিলেন।