গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুরের কালীগঞ্জে পুলিশ এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনার পরই তাঁর স্বামী-শ্বশুরসহ বাড়ির লোকজন পালিয়ে গেছে। গৃহবধূর স্বজনের দাবি, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
উপজেলার উত্তরগাঁও এলাকা থেকে বুধবার সকালে গৃহবধূ আলেয়া আক্তারের (১৮) লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার পলাশতলী গ্রামের তাহের মিয়ার মেয়ে। তাঁর গলায় আঘাতের চিহ্ন পেয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও আলেয়ার স্বজন জানান, আলেয়া মূলগাঁও এলাকায় প্রাণ-আরএফএল কোম্পানিতে চাকরি করতেন। সেই সময় তাঁর সহকর্মী উত্তরগাঁও এলাকার মোজাম্মেল হকের সঙ্গে পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। চার মাস আগে তাদের বিয়ে হয়। এর কিছু দিন পর থেকেই তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়।
গতকাল সকালে মোজাম্মেল হকের বাড়ি থেকে ফোনে আলেয়ার পরিবারের সদস্যদের জানানো হয়, আলেয়া অসুস্থ। খবর পেয়ে স্বজনরা মোজাম্মেলের বাড়িতে এসে জানতে পারেন, পুলিশ আলেয়ার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছে।
আলেয়ার বাবা তাহের মিয়া অভিযোগ করেন, তাঁর মেয়েকে দিয়ে মোজাম্মেল অনৈতিক কাজ করানোর চেষ্টা করেছিল। তাতে আলেয়া রাজি না হওয়ায় তাকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে তারা। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে তাঁর মেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে মোজাম্মেল নাটক সাজিয়ে অপপ্রচার চালায়। তিনি তাঁর মেয়ে হত্যার বিচার চান।
কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক অপূর্ব কুমার বাইন জানান, সকালে উত্তরগাঁও এলাকার মোজাম্মেলের বাড়ি থেকে আলেয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। আলেয়ার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে আলেয়ার স্বামী-শ্বশুরসহ বাড়ির কাউকে পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, সবাই পালিয়েছে।