নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় রওশন আলী মিয়া ও তার ভাতিজা মিরাজুল ইসলাম তুহিনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রায় ঘোষণার জন্য আগামী ২০ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ রোববার (১৩ আগস্ট) মামলাটির রায়ের জন্য তারিখ নির্ধারিত ছিল। কিন্তু ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক জেসমিন আরা বেগম ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ছুটিতে আছেন। এজন্য ভারপ্রাপ্ত বিচারক এম আলী আহমেদ রায় পিছিয়ে এ তারিখ ঠিক করেন। এর আগে গত ৩ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের এ তারিখ ঠিক করেন। আজ দুপুরে নিউজ পোস্টকে এ তথ্য জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মিজানুর রহমান খান।
মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- আউয়াল মোল্লা, পাচু মিয়া, কে এম রাজু ওরফে কোরবান মিয়া, রবিউল ইসলাম ওরফে মশিউর মিয়া, হানিফ ওরফে হৃদয়, এনামুল হাসান মিয়া, রেজাউল মাতুব্বর, কাইয়ুম মিয়া, রিকুল ইসলাম ওরফে রবিন শিকদার, দুলাল মিয়া, হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিব মিয়া, পারভেজ মিয়া, হাফিজুর রহমান ওরফে তুষার মিয়া, তুহিন মিয়া, শহিদুল ইসলাম ওরফে শহিদ মিয়া। আসামিদের মধ্যে আউয়াল জামিনে, পাচু, রাজু ও রবিউল কারাগারে এবং বাকি ১১ আসামি পলাতক।
আদালত সূত্রে জানা যায়, নগরকান্দার কাইচাইল ইউনিয়নের হানিফ মিয়া হৃদয়ের সঙ্গে বিরোধ ছিল একই এলাকার রওশন মিয়ার। ২০১৯ সালের ১০ আগস্ট বিকেলে মসজিদে নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে হানিফ মিয়ার নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে হত্যা করে রওশন আলী মিয়া ও মিরাজুল ইসলাম তুহিনকে। এ ঘটনার পরেরদিন রওশন আলীর ভাই রায়হান উদ্দিন মিয়া বাদী হয়ে নগরকান্দা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই- ফরিদপুর) উপ-পরিদর্শক আব্দুল মজিদ ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৩৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।