
ক্রীড়া ডেস্ক:
২০১৮ সাল থেকে ফিফার আর্থিক নিষেধাজ্ঞায় ছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। কারণ ছিল আর্থিক স্বচ্ছতার অভাব ও নির্দিষ্ট খাতের বাইরে ফিফার প্রদত্ত অর্থ ব্যয় করা। সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
শুক্রবার (৭ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাফুফে। এখন থেকে স্বাভাবিক কিস্তিতে ফিফার আর্থিক অনুদান পাবে দেশের শীর্ষ ফুটবল নিয়ন্তা সংস্থা।
অউঠঊজঞওঝঊগঊঘঞ
ঞবপয ংঃড়পশ ারফবড় ৩ ৫ঋবন২৫ঞবপয ংঃড়পশ ারফবড় ৩ ৫ঋবন২৫
বাফুফের আয়ের অন্যতম উৎস হলো ফিফার ফান্ড। কিন্তু অনিয়ম ও অস্বচ্ছতার কারণে বাফুফেকে গত ছয় বছর ধরে অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছিল অনেক বেশি কিস্তিতে। অর্থ ছাড়করণের সেই শিথিলতা প্রত্যাহার করে নিয়েছে ফিফা।
বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, ‘ছয় বছর পর ফিফার দেওয়া সীমিত অর্থায়নের নিষেধাজ্ঞা থেকে বেরিয়ে এসেছে বাফুফে। ফিফা আজ আমাদের এই অগ্রগতির কথা জানিয়েছে। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার চার মাসের মধ্যে এটি করতে সক্ষম হয়েছি, যা অতীতে করা যায়নি।’
ফিফা সাধারণত দুটি বা তিনটি কিস্তিতে প্রতি বছর সদস্য দেশগুলোকে ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার বরাদ্দ করে থাকে। তবে গত ছয় বছর ধরে বাফুফে অনেক বেশি কিস্তিতে টাকা পেত। প্রতি বছর তাদেরকে সমপরিমাণ অর্থ দেওয়া হতো ১২টি কিস্তিতে। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় এখন থেকে দুটি বা তিনটি কিস্তিতে পুরোটা পাবে তারা।
গত বছরের অক্টোবরে বাফুফের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হন তাবিথ। এরপর তিনি একবার ফিফা সভাপতির সঙ্গে এবং দুবার এএফসি সভাপতির সঙ্গে দেখা করেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি ফিফা ও এএফসি সদর দপ্তরও পরিদর্শন করেছেন, যাতে বাংলাদেশে ফিফার অডিট টিমের সফর এগিয়ে আনা যায়।
ফিফার নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় আরও কিছু বাড়তি সুবিধা পাওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন তাবিথ, ‘এখন বাফুফে বিশেষ প্রকল্পের জন্য ফিফাতে আবেদন করতে পারবে এবং নিজেদের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারবে।’