ফিলিং স্টেশনে সিলিন্ডারে এলপি গ্যাস সরবরাহ!

প্রকাশিত: ২:২৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২১, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক বগুড়া

বগুড়ার শাজাহানপুরের জামাদারপুকুর এলাকায় গীতা ফিলিং পয়েন্টের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সিলিন্ডারে এলপি গ্যাস সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। এলপি সিলিন্ডার গ্যাস পরিবেশক মেসার্স আছমা ট্রেডার্স এবং মেসার্স বন্ধু ট্রেডার্সের পক্ষ থেকে শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর এই অভিযোগ করা হয়। কিন্তু অভিযোগের দশদিন পেরিয়ে গেলেও ইউএনও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিযোগকারীরা।

মেসার্স বন্ধু ট্রেডার্সের স্বত্তাধিকারী ইব্রাহীম হোসেন জানান, তিনি যমুনা এলপি সিলিন্ডার গ্যাস পরিবেশক হিসেবে ব্যবসা করে আসছেন। উপজেলার জামাদারপুকুর এলাকায় গীতা ফিলিং পয়েন্ট পেট্রোল, ডিজেল এবং যানবাহনে এলপি গ্যাস সরবরাহ করে থাকে। কিন্তু বর্তমানে তারা শর্ত ভেঙে যানবাহনের পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে প্রতিনিয়ত সিলিন্ডারে এলপি গ্যাস সরবরাহ করে আসছে। যা সম্পূর্ণ অবৈধ। এতে করে একদিকে যেমন বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে অপরদিকে বিভিন্ন গ্যাস কোম্পানির পরিবেশকগণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ বিষয়ে গত ৯ জানুয়ারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও অজ্ঞাত কারণে ইউএনও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেননি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গীতা ফিলিং পয়েন্টে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সাইকেল, মোটরসাইকেল, রিকশা কিংবা ভ্যানে করে আসা গ্রাহকদের মাঝে ঝুঁকিপূর্ণভাবে অহরহ সিলিন্ডারে এলপি গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতি দেখে দ্রুত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে কৌশলে গ্রাহকদেরকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

গীতা ফিলিং পয়েন্টের ম্যানেজার রতন মিয়া সিলিন্ডারে গ্যাস সরবরাহ অবৈধ স্বীকার করে বলেন, মাঝে মধ্যে শুক্রবার পরিচিত স্বজনদের মাঝে স্বল্প পরিসরে সিলিন্ডারে গ্যাস দিতে হয়। এছাড়া ঢালাওভাবে সিলিন্ডারে গ্যাস সরবরাহ করা হয় না।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিদা আক্তার জানান, তিনি অভিযোগ পেয়েছেন। সময় হাতে রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।