ফুলগাজীতে জাল ভোট দিতে গিয়ে আরও ৬ জন আটক, ব্যালট জব্দ
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
জেলা প্রতিনিধি,ফেনীঃ
ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র থেকে আরও ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। এর আগে জাল ভোট দেওয়ায় পাঁচজনকে আটক করা হয়।বুধবার (৮ মে) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তাদের আটক করা হয়। একই সময় তিনটি কেন্দ্র থেকে ২৯টি ব্যালট পেপার জব্দ করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, দুপুরের পর জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করলে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার আলী আজম উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ এবং গাবতলা হাজী আমীর হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে থেকে ৫ জনকে আটক করা হয়।
গাবতলা হাজী আমীর হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সৈয়দ আসিফ মাহমুদ বলেন, জাল দেওয়ার চেষ্টা করলে কেন্দ্র থেকে দুইজনকে আটক করা হয়। তারা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।আলী আজম উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা পুষ্পেন সাহা বলেন, এ কেন্দ্রে দরবারপুর ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডের ৪ হাজার ৮৫৪ জন ভোটার ১১টি বুথে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। কেন্দ্র থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তিনজনকে আটক করেছেন।
ফুলগাজী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন বলেন, কেন্দ্র বিশৃঙ্খলার ও জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে।রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন ভোট গণনা চলছে। জাল ভোট দিতে গিয়ে উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে মোট ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া ২৯টি সিল দেওয়া ব্যালট পেপার জব্দ করা হয়েছে।
ফুলগাজী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুইটি পদে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন মজুমদারের সঙ্গে জাফর উল্ল্যাহ মজুমদার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মাহাবুবুল হক কালা, অনিল বনিক, আবদুর রহিম পাটোয়ারী ও সাইফুদ্দিন মজুমদার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ ছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মঞ্জুরা আজিজ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
ফুলগাজী উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৬ হাজার ৫৭১ জন। এর মধ্যে ৫৪ হাজার ৭৬০ জন পুরুষ এবং ৫০ হাজার ৯১১ জন নারী ভোটার। নির্বাচনে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৩২টি ভোটকেন্দ্রের ২৪৪টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।