নিজেস্ব প্রতিবেদক:
অনলাইন কেনাকাটার প্রসার হওয়ায় ই-কমার্সে জড়িত অনেকেই। কেউ আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পেজ খুলে ব্যবসা করছেন বা প্রচারণা করছেন, যা এফ-কমার্স হিসেবে পরিচিত। ফেসবুক পেজে ব্যবহারকারীর সংখ্যা, তাদের আনাগোনা বাড়ানো অনেকের কাছেই চ্যালেঞ্জিং মনে হয়। তবে সঠিক কৌশল, নিয়মিত কিছু পরিবর্তন ও কার্যকর পদ্ধতি গ্রহণ করলে অল্প সময়েই ফেসবুক পেজ জনপ্রিয় করা যায়।
ফেসবুক পেজ জনপ্রিয় করার আটটি কৌশল জেনে নেওয়া যাক।
১. মানসম্পন্ন এবং প্রাসঙ্গিক কনটেন্ট প্রকাশ
ফেসবুক পেজের সাফল্যের মূল চাবিকাঠি হল মানসম্পন্ন ও প্রাসঙ্গিক কনটেন্ট। পেজে প্রকাশিত কনটেন্ট অবশ্যই দর্শকদের আগ্রহ এবং চাহিদার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। যদি কনটেন্ট অপ্রাসঙ্গিক বা নিম্নমানের হয়, তাহলে দর্শকদের আগ্রহ হারিয়ে যাবে এবং পেজের এনগেজমেন্ট কমে যাবে।
২. পেজের প্রোফাইলে সঠিক তথ্য উপস্থাপন
পেজের ‘অ্যাবাউট’ সেকশনটি দর্শকদের প্রথমেই আকর্ষণ করে, তাই এখানে এমন তথ্য প্রদান করা উচিত যা ব্র্যান্ডের মূল উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে তুলে ধরে এবং দর্শকদের কৌতূহল মেটায়। দর্শকদের প্রয়োজন অনুযায়ী প্রোফাইল সাজালে তাদের আস্থা বৃদ্ধি পাবে এবং পেজের প্রতি আগ্রহ বাড়বে।
৩. ক্রস প্রমোশন
ফেসবুকে পেজ চালু করার পর অন্যান্য জনপ্রিয় পেজ বা প্রোফাইলের মাধ্যমে প্রচার চালানো যেতে পারে। এছাড়া, পেজে ফলো এবং শেয়ার বাটন যুক্ত করলে দর্শকদের পেজে যুক্ত হওয়া সহজ হয়ে ওঠে। ক্রস প্রমোশন কৌশলটি নতুন দর্শক আনার ক্ষেত্রে খুবই কার্যকর।
৪. ফেসবুকের নীতিমালা অনুসরণ করা
পেজে ফেসবুকের নীতিমালা অনুসরণ করে কনটেন্ট পোস্ট করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিভ্রান্তিকর, মিথ্যা বা নীতিমালা লঙ্ঘনকারী কনটেন্ট পেজের জনপ্রিয়তা কমিয়ে দিতে পারে। তাই, ফেসবুকের নীতিমালা অনুযায়ী মানসম্মত এবং আকর্ষণীয় কনটেন্ট প্রকাশ করতে হবে।
৫. ক্রস-পোস্টিং
যদি আপনার ইনস্টাগ্রামে অ্যাকাউন্ট থাকে, তবে একই কনটেন্ট ফেসবুক পেজে পোস্ট করার পাশাপাশি ইনস্টাগ্রামেও শেয়ার করুন। এই কৌশলে কনটেন্টটি অনেক বেশি দর্শকের কাছে পৌঁছাবে এবং একাধিক প্ল্যাটফর্মে পেজের পরিচিতি বৃদ্ধি পাবে।
৬. লাইভ সেশন পরিচালনা
ফেসবুকে লাইভ সেশন আয়োজন করা দর্শকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের একটি চমৎকার উপায়। লাইভ সেশনে প্রশ্নোত্তর পর্ব যোগ করলে এটি আরও ইন্টারঅ্যাকটিভ হয়ে ওঠে এবং দর্শকদের কাছ থেকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়। লাইভ সেশন তাদের প্রয়োজন এবং আগ্রহ জানার জন্য বিশেষভাবে কার্যকর।
৭. বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রণ করা
ফেসবুক পেজে প্রদর্শিত বিজ্ঞাপন অনেক সময় বিরক্তিকর হতে পারে। তবে, ফেসবুকের অ্যাড প্রেফারেন্স সেকশন ব্যবহার করে পছন্দসই বিজ্ঞাপন ক্যাটাগরি নির্বাচন করা সম্ভব। এর মাধ্যমে দর্শকদের পছন্দ অনুযায়ী বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করা যায়, যা তাদের জন্য উপকারী হতে পারে।
৮. ফেসবুক উপাত্ত বিশ্লেষণ করা
ফেসবুক পেজের উপাত্ত ডাউনলোড করে বিশ্লেষণ করা যায়। এই উপাত্তের মাধ্যমে সহজেই বোঝা যায় কোন ধরনের কনটেন্ট দর্শকদের কাছে বেশি জনপ্রিয়। এসব তথ্য কাজে লাগিয়ে, দর্শকদের চাহিদা অনুযায়ী কনটেন্ট তৈরি করা উচিত।