ফেসবুক স্ট্যাটাসে মাহফুজ আলম এ অভ্যুত্থান সবার, সবাইকে নিয়ে এগোতে হবে
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি

নিজস্ব প্রতিবেদক:
এ অভ্যুত্থান সবার, সবাইকে নিয়ে এগোতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্র্বতী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন।
স্ট্যাটাসে মাহফুজ আলম বলেন, ‘এ অভ্যুত্থান সবার। সে জন্যই মাস্টারমাইন্ড নামক মিডিয়ার তৈরি হাইপকে আমি শুরুতেই প্রত্যাখ্যান করেছি।’
উপদেষ্টা মাহফুজ বলেন, যারা সিদ্ধান্ত নিতেন, তারা প্রায় সব সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে অনেক স্টেকহোল্ডারের (অংশীজন) সঙ্গে কথা বলেছেন। একটা সিদ্ধান্ত ফাইনালাইজ (চূড়ান্ত) করতে অন্তত ৫ থেকে ৬টা গ্রুপের মতামত শুনে বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। ফলে এটা আসলে তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়া বডির সামষ্টিক কৌশলগত সক্ষমতা যেমন, তেমনি অনেকগুলো গ্রুপ অব পিপলের (মানুষ দল) অংশগ্রহণ ও পরামর্শেরও ফসল। কেউই অনুল্লেখযোগ্য নন। আর জনগণ তো ১৯-৩৩ জুলাই কারও সিদ্ধান্তের জন্য বসে থাকেনি। তবে তারা অবশ্যই পাবলিক-প্রাইভেট থেকে শুরু করে মাদ্রাসা-স্কুল-কলেজের ছাত্রদেরই লেজিটিমেট (বৈধ) নেতৃত্ব হিসেবে মানতেন।
মাহফুজ বলেন, ‘আমাদের মধ্যবর্তী অবস্থান ধরে রাখতে হবে।’
মাহফুজ আলম আরও বলেন, সবাইকে নিয়ে এগোতে হবে, কিন্তু অন্তর্ঘাতকদের (স্যাবাটার) বাদ দিয়ে। স্যাবাটাজ বা পেছন থেকে ছুরি মারা, অনার কোড না মানার অভ্যাস—এসব যেকোনো বন্দোবস্তের জন্য হুমকিস্বরূপ। রাজনীতি মানে জেনটেলমেন’স অ্যাগ্রিমেন্টও (যে চুক্তি পারস্পরিক সম্মান-শ্রদ্ধাবোধের ওপর প্রতিষ্ঠিত) থাকবে না, এটা যারা ভাবেন, তারা নিজেদের শুধরে নিন।মাহফুজ আলম বলেন, তার কোনো কোনো বক্তব্য হয়তো কারও কারও মনে কষ্ট দিয়েছে, বিশেষ করে তৌহিদি জনতা বলাটা। যারা তার বক্তব্যের কারণে নারাজ-নাখোশ হয়েছেন, তিনি তাঁদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছেন।
তিনি বলেন, এ ছাড়া গত কয়েক মাসে অন্য কোনো বক্তব্যে কেউ আঘাত পেলে বা সেটাকে বিভাজনমূলক ভাবলে সে ক্ষেত্রেও তিনি তার বক্তব্য পুনর্বিবেচনার পক্ষে। ভারসাম্যপূর্ণ, বিভাজন ও ট্যাগিংবিরোধী অবস্থান গ্রহণ করাটা জনগণের মধ্যকার ঐক্যের জন্য জরুরি। তাঁরা জালিম বা মজলুম কোনোটাই হতে চান না।
তিনি বলেন, ‘আমাদের শত্রু অগণিত এবং তারা সবাই শক্তিধর। মিত্র খুবই কম। একটু ছাড় দিয়ে যদি আমরা মিত্রতা বাড়াতে পারি এবং শত্রুদের পরাস্ত করতে পারি, তা আখেরে এ দেশের জনগণকেই উপকৃত করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের সকল শক্তির ঐক্যই আমাদের গন্তব্য। একটা হিস্টরিক ব্লক তৈরির সম্ভাবনা আমাদের সামনে ছিল। এখনো আছে বটে।ফ্যাসিবাদবিরোধী ও বাংলাদেশপন্থী জনগোষ্ঠীকে নিজেদের মধ্যেই রাজনৈতিকভাবে ইতিবাচক প্রতিযোগিতা করতে হবে। কোনোভাবেই ফ্যাসিবাদী শক্তিকে রাজনীতিতে স্পেইস দেওয়া যাবে না।’