ফ্লাইট ছাড়ার ৪ ঘন্টা আগে যাত্রীদের বিমানবন্দরে থাকার নির্দেশ

প্রকাশিত: ১০:৩২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১০, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ফ্লাইটের নির্ধারিত সময়ের ৪ ঘণ্টা আগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এটাসহ বহির্গমন যাত্রীদের জন্য পাঁচ ধাপের নির্দেশনা দেওয়া হয়। আজ শুক্রবার (১০ নভেম্বর) বিমানবন্দরের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যায়, বহির্গমন যাত্রীদের গেটে প্রবেশ, চেক-ইন কার্যক্রম বা লাগেজ বুকিং ও বোর্ডিং কার্ড সংগ্রহ, ইমিগ্রেশন, প্রি-বোর্ডিং সিকিউরিটি সম্পন্ন এবং বহির্গমন লাউঞ্জে অবস্থান নিয়ে নানা পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো-

হ্যাভি লাগেজ বা প্রবেশ গেটঃ

প্রথমে একজন যাত্রী তার ফ্লাইটের নির্ধারিত সময়ের চার ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরের বহির্গমন ড্রাইভওয়েতে উপস্থিত হবেন। এরপর প্রবেশ গেটে রাখা ডিসপ্লে বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী ফ্লাইটের জন্য নির্ধারিত গেট দিয়ে নিরাপত্তাকর্মীকে পাসপোর্টসহ আনুষঙ্গিক কাগজপত্র দেখিয়ে ভেতরে প্রবেশ করবেন। লাগেজ বহনের জন্য ড্রাইভওয়ের প্রতিটি প্রবেশ গেটে বিনামূল্যে ট্রলির ব্যবস্থা রয়েছে।

চেক-ইন বা লাগেজ বুকিং ও বোর্ডিং কার্ড সংগ্রহঃ

বিমানবন্দরের ভেতরে প্রবেশের পর, ডিসপ্লে বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী ফ্লাইটের জন্য নির্ধারিত চেক-ইন কাউন্টারে উপস্থিত হবেন যাত্রীরা। এরপর এয়ারলাইন্স প্রতিনিধির কাছে পাসপোর্টসহ সব কাগজপত্র দেখিয়ে লাগেজ বুকিং দেবেন। একই সঙ্গে লাগেজ ট্যাগ ও বোর্ডিং কার্ড সংগ্রহ করবেন।

উল্লেখ্য, সৌদি আরবগামী যাত্রীদের ক্ষেত্রে যদি পুরাতন হন, অথবা ছুটিতে এসে থাকেন, তাহলে চেক-ইন করার আগেই বহির্গমন এলাকায় অবস্থিত প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক থেকে ছুটির কাগজ সত্যায়িত করে নেবেন। আর নতুন যাত্রীর ক্ষেত্রে চেক-ইন করার পর, ইমিগ্রেশনের ভেতরে অবস্থিত প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক থেকে বিএমইটি কার্ড যাচাই করে বোর্ডিং কার্ডে সিল নিশ্চিত করে নেবেন। চেক-ইন করার সময় কোনো সমস্যা হলে বহির্গমন এলাকায় অবস্থিত হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় তথ্য সেবা নেওয়া যাবে।

ইমিগ্রেশনঃ

চেকিং কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর যাত্রীরা পাসপোর্ট, বোর্ডিং কার্ড এবং আনুষঙ্গিক কাগজপত্র প্রদর্শন করে ইমিগ্রেশন শেষ করবেন। পাসপোর্টে সিল পড়েছে কি না তা নিশ্চিত হবেন।

বহির্গমন লাউঞ্জে অবস্থানঃ

ইমিগ্রেশন শেষ হওয়ার পর প্রি-বোর্ডিং সিকিউরিটি শুরু হওয়ার দুই ঘণ্টা আগে বহির্গমন লাউঞ্জ এলাকায় অপেক্ষা করবেন যাত্রীরা। এরমধ্যে কারো যদি বিদেশি মুদ্রা এক্সচেঞ্জ করার প্রয়োজন হয়, তাহলে বহির্গমন লাউঞ্জে অবস্থিত মুদ্রা বুথ থেকে এক্সচেঞ্জ করতে পারবেন। এছাড়া শিশুদের মাতৃদুগ্ধ পান করানোর জন্য ইমিগ্রেশন-১ এর পাশে বেবি কেয়ার, বই পড়ার জন্য একটি বঙ্গবন্ধু কর্নার, শুল্কমুক্ত দোকান এবং দুপুর ও রাতের খাবার, অথবা নাস্তা করার জন্য রেস্তোরাঁ এবং প্রয়োজনীয় ফুড কর্নার রয়েছে।

প্রি-বোর্ডিং সিকিউরিটি সম্পন্নঃ

বহির্গমন লাউঞ্জে অবস্থানরত যাত্রীরা ডিসপ্লে বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী, ফ্লাইট ছাড়ার দুই বা এক ঘণ্টা আগে তাদের নির্ধারিত বোর্ডিং গেটে উপস্থিত হবেন। নিরাপত্তা তল্লাশি এবং স্ক্রিনিং নিশ্চিত করার জন্য কোট, ব্লেজার, জ্যাকেট, বেল্ট, জুতা, হাতঘড়ি, মোবাইল, ল্যাপটপ, আইপ্যাড, ট্যাব, চার্জার, পাওয়ার ব্যাংক, খেলনা বন্দুক, চাবি, কয়েন, ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী ইত্যাদি ট্রের মধ্যে রাখতে হবে। তল্লাশি ও স্ক্রিনিং শেষ করার পর, প্লেনে উঠার জন্য হোল্ডিং লাউঞ্জে অপেক্ষা করবেন যাত্রীরা। এরপর নির্ধারিত সময়ে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্স প্রতিনিধি যাত্রীদের প্লেনে উঠতে সহায়তা করবেন।