ফ্লাইট শুরু ৯ মে, এখনো অনিশ্চয়তায় ৭০ হাজার হজযাত্রী!
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
ইসলামী ডেস্ক রিপোর্টঃ
আগামী বৃহস্পতিবার (৯ মে) হজ ফ্লাইট শুরু হতে যাচ্ছে। তবে এখনো ভিসা না পাওয়ায় অনিশ্চয়তায় পড়েছেন প্রায় ৭০ হাজার হজযাত্রী। আর আজ মঙ্গলবারই সৌদি দূতাবাসের ভিসা দেওয়ার শেষদিন। ধর্ম মন্ত্রণালয় বলছে, ভিসা দেওয়ার সময় বাড়ানোর জন্য সৌদি দূতাবাসের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে।
হজ ভিসার জন্য আবেদনের শেষ সময় ছিল ২৯ এপ্রিল। ধর্মমন্ত্রীর আবেদনের প্রেক্ষিতে ভিসা আবেদনের সময় ৭ মে পর্যন্ত করা হয়। ৮ দিন বাড়ানো হলেও এখনও ৭৫ শতাংশের বেশি হজযাত্রীর ভিসার আবেদন করেনি এজেন্সিগুলো। বাকি একদিনের মধ্যে ৭০ হাজারের বেশি হজযাত্রীর ভিসার আবেদন করা কতটুকু সম্ভব তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
সোমবার (৬ মে) সন্ধ্যায় এই সংকটে করণীয় ঠিক করতে হজ এজেন্সিদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সেখানেও এ সমস্যার সমাধান হয়নি। ভিসা আবেদনের সময় আরও বাড়ানোর জন্য সৌদি সরকারকে চিঠি দিতে এজেন্সিগুলো মন্ত্রণালয়কে চাপ দেয়। শেষ পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগ থেকে জানা যায়, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ৮৩ হাজার ২০৯ জন নারী-পুরুষ পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরবে যাবেন। এর মধ্যে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন। বাকি ৪ হাজার ৩১৪ জন যাবেন সরকারি ব্যবস্থাপনায়। সাত শতাধিক হজ এজেন্সি হজযাত্রীদের নিবন্ধন করেছে। ২৫৯টি লিড এজেন্সি হজযাত্রীদের মূল ব্যবস্থাপনায় থাকবে। এর মধ্যে সোমবার পর্যন্ত মাত্র ৫৫টি এজেন্সির আংশিক ভিসা আবেদন হয়েছে। বাকি ২০৪টি এজেন্সি ভিসা প্রক্রিয়া শুরুই করতে পারেনি। এই এজেন্সিগুলোর অধীনে মোট ৭০ হাজারের বেশি হজযাত্রী রয়েছে।
হাবের সভাপতি এম শাহাদত হোসাইন তসলিম বলেন, হজযাত্রীদের বাড়ি ভাড়ার ভিসা সময়মতো পাওয়া যায়নি। সময়মতো পাওয়া যায়নি, এমনটিও আসলে নয়। এ বছর এই ভিসা দেওয়াই হয়নি। এই প্রতিবন্ধকতা বা প্রতিকূলতার মধ্যেও প্রাইভেট এজেন্সিগুলো তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
তবে, এসব জটিলতা কাটিয়ে সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার কথা বলছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। তাদের আশা, নিবন্ধন করা সব হজযাত্রীই সৌদি আরবে যেতে পারবেন।ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, বুকিং দেওয়া হজযাত্রীদের মধ্যে বেশিরভাগ সরকারি ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরব যাচ্ছেন। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাওয়া হজযাত্রীরা ভিসা না পাওয়ায় এজেন্সিগুলো বিমানের টিকিট কাটতে পারছে না। এজন্য বুকিংয়ের সংখ্যা বাড়ছে না।
জানতে চাইলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম বলেন, এটা নিয়ে জরুরি বৈঠক হয়েছে।হজযাত্রীর জন্য বাংলাদেশ বিমানসহ তিনটি এয়ারলাইনস আগামী ৯ মে থেকে ফ্লাইট পরিচালনা করবে। হজযাত্রীদের নিয়ে শেষ ফ্লাইট যাবে ১২ জুন।