ফ্লোরিডায় অবতরণের পর বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারে মিলল দুই ব্যক্তির মরদেহ
ডেস্ক রিপোর্ট:
নিউইয়র্ক থেকে ফ্লোরিডায় যাওয়া জেটব্লু ফ্লাইট থেকে দুই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় সময় সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে ফ্লোরিডায় পৌঁছানোর ফোর্ট লডারডেল-হলিউড আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জেটব্লুর ফ্লাইট রক্ষণাবেক্ষণ পরিদর্শনের এয়ারবাস এ৩২০-২৩২ এর ল্যান্ডিং গিয়ার কম্পার্টমেন্ট থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করেন বিমানের কর্মকর্তা।
লং আইল্যান্ড সিটির কর্পোরেট সদর দপ্তরের মুখপাত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার জেটব্লু মুখপাত্র বলেন, এই দুই ব্যক্তি কীভাবে জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরের ১৮০১ ফ্লাইটে অননুমোদিতভাবে ঢুকতে পেরেছিলেন তা তদন্ত করছেন ফেডারেল তদন্তকারীরা। দুঃখজনকভাবে উভয়ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এই মুহূর্তে তাদের পরিচয় এবং তারা কীভাবে বিমানে প্রবেশ করেছিলেন তা তদন্তাধীন।
জেটব্লুর একজন মুখপাত্র এ ব্যাপারে বলেন, এটি একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা। কীভাবে এটি ঘটেছে তা বোঝার জন্য আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
পোর্ট অথরিটির একজন মুখপাত্র এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) এবং ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ডের (এনটিএসবি) ওপর এ ঘটনার দায়িত্ব ন্যস্ত করা হয়েছে। ব্রাওয়ার্ড কাউন্টি শেরিফের দপ্তরের কর্মকর্তারা রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিমানটির ল্যান্ডিং গিয়ারের কাছে দুই ব্যক্তির মৃতদেহ পাওয়ার কথা জানান। ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্যারামেডিকরা উভয় ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করেন। ব্রাওয়ার্ড কাউন্টি মেডিকেল পরীক্ষকের কার্যালয় তাদের মৃত্যুর কারণ ময়নাতদন্ত করবে।
জেটব্লুর বিমানটি ৫ জানুয়ারি জেএফকে থেকে জামাইকার কিংস্টনে পৌঁছানোর পর রাতে সেখানেই ছিল। এ কারণে ধারণা করা হচ্ছে, মৃত ব্যক্তিরা জামাইকার বাসিন্দা হতে পারেন।
জামাইকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কমিনা স্মিথ এ বিষয়ে মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেন, ‘ফোর্ট লডারডেলে একটি বিমানের চাকার কাছে দুটি মৃতদেহ পাওয়ার বিষয়টি আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি। যদিও এই ব্যক্তিদের জাতীয়তা নিয়ে জল্পনা চলছে। এ ঘটনায় এখনও তদন্ত চলছে। তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়নি।’
ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের মতে, বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার কম্পার্টমেন্টে লুকিয়ে যাত্রা করা অত্যন্ত বিপজ্জনক। এতে চাকার ভাঁজে চূর্ণ হওয়া, অবতরণের সময় পড়ে যাওয়া অথবা বিমানের ভেতরে গুরুতর ঠান্ডা ও অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে।