সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে পারিবারিক সম্মতিতে ধুমধাম করে বিয়ের আয়োজন করা হয়। বিয়ের কাজ শেষ করে সকালে বর-কনে বাড়িতেও আসে। আয়োজন করা হয় বৌ-ভাতের। কিন্তু বাসর রাতের আগেই বিয়ের আনন্দ রূপ নিল বিষাদে।
বুধবার সকালে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার খুকনি ইউনিয়নের ঝাউপাড়ায় নিজ বাড়ি থেকে বরের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বরের নাম লক্ষণ বিশ্বাস (২৫)। সে খুকনি ঝাউপাড়া গ্রামের হারাণ বিশ্বাসের ছেলে। কনে তাড়াশ উপজেলার গণেশ চন্দ্র মেয়ে প্রীতি রানী।
নিহতের বড় ভাই শরৎ চন্দ্র বলেন, সোমবার প্রীতি রানীর সঙ্গে ধুমধাম করে লক্ষণের বিয়ে হয়। মঙ্গলবার বর-কনে বাড়ি আসে। বুধবার বৌ-ভাত এবং আজকেই বাসর রাত ছিল। বৌ-ভাতে প্রায় ৩০০ লোককে নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল। কিন্তু সকালে নতুন বউ ঘর থেকে বের হওয়ার সুযোগেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন লক্ষণ।
স্থানীয়দের ধারণা, পারিবারিক সম্মতিতে বিয়ে হলেও বউ পছন্দ না হওয়ায় তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।
এনায়েতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান বলেন, ‘খুকনি ঝাউপাড়া থেকে নববিবাহিত এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন সেটা তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।’