বঙ্গবন্ধু হত্যার খুনিদের তথ্য দিলে পুরস্কৃত করবে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৬:১৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৪, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত পলাতক পাঁচ আসামির তথ্য কোনও নাগরিক যদি দেন তাহলে সরকারের পক্ষ থেকে তাকে পুরস্কৃত করা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে আব্দুল মোমেন।

আজ সোমবার (১৪ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

ড. এ. কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘৭৫-এর পরের সরকার বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত সকল আসামিকে বিভিন্ন দেশে নিয়োগ দিয়ে পাঠিয়ে দেয়। তারা যখন বুঝতে পারে যে তাদের বিরুদ্ধে দেশে কোনও একসময় মামলা হবে। তারপর তারা ভিন্ন নামে আত্মগোপনে চলে যায়। আমি দেশবাসীকে বলতে চাই, আপনারা কেউ যদি এই পাঁচজনের তথ্য দিতে পারেন তাহলে আপনাদেরকে সরকার পুরস্কৃত করবে।

তিনি বলেন, সাত জন হত্যাকারীর মধ্যে সরকার দুইজনের তথ্য পেয়েছে। বাকি পাঁচজন এখনও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। যে দুজনের তথ্য পেয়েছি তাদের মধ্যে একজন রাশেদ চৌধুরী, আমেরিকায় থাকে। আরেকজন থাকে কানাডায়। তাদের জন্য আমরা অনেক চিঠিপত্র লিখেছি। স্বয়ং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিয়েও আমরা আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু তারা সবসময় বলে এই ইস্যুটা তাদের অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসে আছে। দুই বছর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস থেকে আমাদেরকে বলেছে, বাংলাদেশে যে মামলা হয়েছিল সেই মামলার তথ্য দিতে। আমরা সেই সব তথ্য তাদেরকে দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আর কানাডায় যে আসামি পলাতক আছে তার বিষয়ে কানাডা সরকার কোনও তথ্য দিচ্ছে না। এ বিষয়ে আমরা কানাডায় একটা মামলাও করেছি। কানাডার আদালত বলেছে, সে যেখানে আছে বা অবস্থান করছে সে বিষয়ে তথ্য দিতে কোনও বাধা নেই। আদালতের নির্দেশ থাকার পরও কানাডা সরকার সে তথ্য আমাদের কাছে পৌঁছায় না। কানাডার সরকার বারবার অজুহাত দেখায়। এই দুইজন সম্পর্কে আমরা জানি। আর বাকি পাঁচজন সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কানাডা আমেরিকার মতন দেশ যেখানে আইন অত্যন্ত শক্তিশালী, যারা আইনের দেশ তারা কখনও খুনিদের আশ্রয় দিতে পারে না। তারা এমন সব খুনিকে আশ্রয় দিয়েছে যারা একটা দেশের রাষ্ট্রপতি এবং তার সমস্ত পরিবারকে হত্যা করেছে। দুনিয়ার অনেক দেশেই অভ্যুত্থান হয়, সেখানে হয়তোবা রাষ্ট্রপতিকেই শুধু হত্যা করে। কিন্তু আমাদের দেশের অভ্যুত্থানে শুধু রাষ্ট্রপতি নয় তার পুরো বংশকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবাহান চৌধুরী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, সাংবাদিক নেতা মনজুরুল আহসান বুলবুল, বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সম্পাদক ফোরামের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম রতন, সাংবাদিক নেতা মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ।