জেলা প্রতিনিধি,চট্টগ্রামঃ
চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানার মাইলের মাথা এলাকার একটি কলোনিতে বন্ধুর ২ বছর বয়সী মেয়েকে অপহরণের ঘটনায় হেলাল প্রকাশ জামাল নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।গতকাল শনিবার তাঁকে কারাগারে পাঠান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। শুক্রবার রাতে নগরীর বন্দর থানার নিমতলা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।হেলাল ভোলা সদর থানার চর চটকিমারা এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে। বৃহস্পতিবার ভোরে নগরীর ইপিজেড এলাকা থেকে হেলালের সহযোগী মো. ইব্রাহিমকে গ্রেপ্তারের পরই এ ঘটনার জট খোলে।
নগরীর মাইলের মাথা এলাকায় একটি কলোনিতে পোশাককর্মী বিলকিস তিন সন্তান শামীম (১৪), রবিউল (৮) ও আয়েশাকে (২) নিয়ে বাস করেন। বিলকিসের স্বামী ভোলায় গ্রামের বাড়িতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালান। হেলালের বাড়িও একই গ্রামে। বিলকিসের স্বামীর বন্ধু হেলাল। গত বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হেলাল বিলকিসের বাসায় যান। তিনি তখন কারখানায় ছিলেন। বাসায় ৩ সন্তানের মধ্যে শামীম বাইরে বের হয়েছিল। রবিউলকে ২০ টাকা দিয়ে দই কিনতে পাঠান হেলাল। রবিউল বের হওয়ার পর আয়েশাকে নিয়ে চলে যান তিনি। রবিউল বাসায় ফিরে বোনকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে তার মাকে জানায়। ওই রাতেই বিলকিস থানায় অভিযোগ করেন।
বন্দর জোনের ডিসি শাকিলা সুলতানা জানান, ইব্রাহিম ও হেলাল মিলে শিশুটিকে অপহরণ করে বিক্রির পরিকল্পনা করেন। ইব্রাহিমের স্ত্রী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। এ ছাড়া শিশুটি মায়ের বুকের দুধ ছাড়া আর কিছু না খাওয়ায় তাকে হেফাজতে রাখা নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়। শেষমেশ বিক্রির পরিকল্পনা বাদ দিয়ে শিশুর মায়ের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের সিদ্ধান্ত নেয়। বুধবার ভোরে বিলকিসের মোবাইলে একটি কল আসে। সেখানে মেয়েকে মুক্তি দেওয়ার জন্য ১ লাখ টাকা দাবি করা হয়। সেই কলদাতা ইব্রাহিমকে শনাক্ত করে বৃহস্পতিবার ভোরে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে আমরা বিলকিসের মাধ্যমে মুক্তিপণের আলোচনা চালিয়ে যেতে থাকি। শিশুটির যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, সে জন্য আমরা বিকাশে ৮ হাজার টাকা পাঠাই। এর পর বৃহস্পতিবার দুপুরে একজন অটোরিকশা চালকের মাধ্যমে শিশুটিকে সল্টগোলা এলাকায় পাঠানো হয়। আমরা শিশুটিকে অক্ষত গ্রহণ করি।