বন্যায় সরে গেছে সেতুর সংযোগ সড়কের মাটি, দুর্ঘটনার শঙ্কা
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
নেত্রকোনা প্রতিনিধি:
পাহাড়ি ঢলের তীব্র স্রোতে নেত্রকোনার কলমাকান্দায় রংছাতি ইউনিয়নের নল্লাপাড়ায় রসুর (লইচ্ছা) সেতুর উভয় পাশের সংযোগ সড়কের মাটি ধসে গেছে। ফলে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহনসহ পথচারীরা। দ্রুত সংস্কার না হলে যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
এলজিইডি কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার সীমান্তবর্তী রংছাতি ইউনিয়নের নল্লাপাড়া এলাকায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে রসুর (লইচ্ছা) সেতুটি ২০০০ সালে নির্মিত হয়। প্রায় ৬ মাস আগে সেতুটি উভয় পাশের সংযোগ সড়কের নিচের অংশে মাটি ধসে গেছে। সম্প্রতি বন্যার পানির স্রোতে মাটি ভেসে গিয়ে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করে। ছোট-বড় যানবাহন অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করছে। দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থা বিরাজ করলেও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। যার ফলে এলাকাবাসী ও পথচারীসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারেন। যানবাহনের চাপের কারণে সেতুটি মূলসড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার শঙ্কায় এলাকাবাসী।
সেতু সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা ছাদু মিয়া বলেন, পাহাড়ি ঢলে তীব্র স্রোতে ও বালুবোঝাই ইঞ্জিনচালিত নৌকার ঢেউয়ে আমাদের বসতবাড়িসহ সেতুর উভয় পাশের সংযোগ সড়ক মহাদেও নদের গর্ভের বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সরকারি বালুমহাল বিলুপ্ত করে ইজারা বাতিল হওয়ার স্বত্বেও অবৈধভাবে প্রতিদিন দিনে-রাতে বালুখেকোরা বসতভিটার সামনে জায়গাসহ নদ থেকে হুমকি-ধমকি দিয়ে জোরপূর্বক শতাধিক ছোটবড় ইঞ্জিনচালিত নৌকা দিয়ে বালু উত্তোলন করে নিয়ে যায়।
কলমাকান্দা স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী মো. মমিনুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের তীব্র স্রোতে রসুর (লইচ্ছা) সেতুটি উভয় পাশের সংযোগ সড়কের নিচের অংশ মাটি ধসে অতি ঝুঁকিতে রয়েছে। আপাতত ঝুঁকিপূর্ণ একটি সংকেত দেওয়া হবে। সংস্কারের একটি প্রস্তাবনাসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা অ্যাসিল্যান্ড মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, কলমাকান্দা-পাঁচগাও সড়কের রসুর (লইচ্ছা) সেতুটি সংযোগ সড়ক অতিদ্রুত সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, উপজেলায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। অর্থদণ্ড আদায় ও বালু জব্দসহ একটি নিলাম কমিটি গঠন করা হয়। পরে প্রকাশ্যে নিলাম ডাকে জব্দ করা বালু বিক্রি করা হয়েছে। এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।