বন্যার পানি বের করতে খোলা হয়েছে মুছাপুর রেগুলেটরের ২৩ গেট
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
নোয়াখালী প্রতিনিধি:
ভয়াবহ বন্যার পানি বের করে দিতে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর রেগুলেটরের ২৩টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। সেখানে প্রতি সেকেন্ডে ৭৫০ ঘনমিটারের বেশি পানি নিষ্কাশন হচ্ছে। তবে বৃষ্টি ও উজানের পানি বাড়ায় জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, ভারতের ত্রিপুরা থেকে উজানের ঢল আন্তসীমান্ত কাকড়ি ও ডাকাতিয়া নদী হয়ে ছোটফেনী নদীর মুখে মুছাপুর ক্লোজার গেটের মাধ্যমে সন্দ্বীপ চ্যানেলের বঙ্গোপসাগরে পড়ছে। কাকড়ী নদী কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার উজিরপুর ও কাশিনগর ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ডাকাতিয়া নদীতে মিশেছে।
এ ছাড়া ডাকাতিয়া নদী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে কুমিল্লার বাগসারা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এরপর চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুর হয়ে মেঘনা নদীতে মিশেছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মামুনুর রশিদ ভূঁইয়া বলেন, ‘রেগুলেটরের তিন মিটার বাই তিন মিটার আয়তনের ২৩টি গেটের সবগুলো গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতায় জোয়ার হলে নিজে থেকে এটির নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যায়।’