বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নারী উদ্যোক্তা

প্রকাশিত: ১১:৪৩ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৫

নিজেস্ব প্রতিবেদক:

ঘরোয়াভাবে খাবার প্রস্তুত করার সময় বিভিন্ন বর্জ্য তৈরি হয়, যা আবাসিক বা গৃহস্থালি বর্জ্য বলা যায়। এই আবাসিক বর্জ্য সঠিকভাবে আবার ব্যবহারোপযোগী করলে পরিবেশ দূষণ যেমন কমে, তেমনি আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যায়। সম্প্রতি এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছে ইয়ুথ অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট।

তারা আবাসিক বর্জ্য আবার ব্যবহারোপযোগী করার জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে– সে বিষয়ে খাদ্যপণ্য নিয়ে কাজ করেন এমন নারী উদ্যোক্তার সঙ্গে মতবিনিময়ের আয়োজন করেন। ৬ ফেব্রুয়ারি খুলনার কেডিএ অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত বিজয়গাথা কমিউনিটি সেন্টারে ২০ নারী উদ্যোক্তা এতে অংশ নেন।

প্রস্তুতকৃত খাদ্যপণ্য ব্যবসায় আগে থেকে কত পরিমাণ খাবার লাগবে, তা নির্ধারণ করা হলে অতিরিক্ত খাবার নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। এ ছাড়া খাবার প্যাকেজিংয়ের জন্য প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার না করে কাগজ দিয়ে তৈরি অথবা ফয়েল পেপার দিয়ে তৈরি করা পণ্য ব্যবহার করলে পরিবেশ দূষণ হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। প্লাস্টিকের পরিবর্তে ফের ব্যবহারযোগ্য বিভিন্ন পণ্য ব্যবহার করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। আলোচনায় অংশগ্রহণকারী নারী উদ্যোক্তারা এসব বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন।

‘কেক অ্যান্ড বাইট’-এর উদ্যোক্তা রুমি রহমান বলেন, ‘পচনশীল উচ্ছিষ্ট ফেলে না দিয়ে কম্পোস্ট তৈরি করি, যা কিচেন গার্ডেনে সার হিসেবে ব্যবহার করি। আবার অনেক পণ্য রয়েছে, যা ভোক্তার কাছে আকর্ষণীয় ও পরিবেশবান্ধব। প্লাস্টিকের বদলে আমি অনেক ক্ষেত্রে কলাপাতা ব্যবহার করি।’

ইয়ুথ অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্টের প্রোগ্রাম ম্যানেজার শাফনা আক্তার বলেন, ‘উদ্যোক্তারা সংসার সামলানোর পাশাপাশি ব্যবসা সামলান। ব্যবসায়ের কাঁচামাল ক্রয় বা সংসারের বাজার করার সময় তারা যদি পরিবেশবান্ধব পণ্য ব্যবহার করেন এবং প্লাস্টিকের ব্যবহার কমিয়ে দেন তাহলে তা পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। যেমন পাট দিয়ে তৈরি করা বাজারের ব্যাগ বা পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার সময় প্লাস্টিকের পরিবর্তে পাটের তৈরি ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন।’