ক্রীড়া ডেস্ক:
বৃষ্টির পূর্ভাবাস নিয়েই কানপুরে শুরু হয়েছিল সিরিজের দ্বিতীয় তথা শেষ টেস্ট। প্রথম দিনে ৩৫ ওভার খেলা মাঠে গড়ানোর পরই বৃষ্টির হানা। এরপর সেদিনতো বটেই আরও দুই দিন কোনো বল মাঠে গড়ায়নি। আড়াই দিনেরও বেশি খেলা বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ার পর ধারণা করা হচ্ছিল, নিশ্চিত ড্রয়ের দিকেই এগোচ্ছে কানপুর টেস্ট।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনালের রেসে টিকে থাকতে ঘরের মাটিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে এই টেস্টে জয়টা গুরুত্বপূর্ণ ছিল ভারতের জন্য। যে কারণে চতুর্থ দিনের লাঞ্চব্রেকেই জেতার ছক কষেছিলেন রোহিত শর্মারা। যেমন পরিকল্পনা, তেমন কাজ। বাংলাদেশকে ২৩৩ রানে থামিয়ে দেওয়ার পর টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাটিংয়ে মাত্র ৩৫ ওভারেই সেই রান টপকে ৫২ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেয় ভারত।
স্বাগতিক ব্যাটারদের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের পর বাকি কাজটা অনায়াসেই সেরেছেন ভারতীয় বোলাররা। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশকে মাত্র ১৪৬ রানে আটকে ফেলেন বুমরাহ-আকাশ দীপরা। ফল অমিমাংসিত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকা টেস্টে ভারতের জয়ের জন্য লক্ষ্যটা দাঁড়ায় মাত্র ৯৫ রান। হাতে তখনো দুই সেশনের খেলা বাকি।
তিন উইকেটের পতন হলেও খুব একটা বেগ পেতে হয়নি স্বাগতিক ভারতের। ৭ উইকেটের জয়ে দুই ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করেছে টিম ইন্ডিয়া।
ম্যাচ শেষে নিজেদের পরিকল্পনা নিয়ে ভারত অধিনায়ক জানালেন, ‘আমরা ভাবছিলাম খেলাটা কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায়। আড়াই দিনের বেশি বৃষ্টির কারণে নষ্ট হয়ে গেলে চতুর্থ দিনে চেয়েছি ওদের দ্রুত গুটিয়ে দিতে। লাঞ্চের পর যখন ২৩৩ রানে ওদের আটকে দেই আমরা চেয়েছি দ্বিতীয় ইনিংসে ওদের অলআউট করার জন্য পর্যাপ্ত ওভার রাখা।’
সিরিজ সেরা হওয়া অশ্বিনও নিজেদের পরিকল্পনার ব্যাখ্যা দিলেন। তিনি বলেন, ৫২ রানের লিড নিয়ে তাদের ধারণা বাংলাদেশকে ২৩০ রানের ভেতর আটকে জেতার মত সময় বের করতে পারবেন, ‘গতকাল যখন ওদের গুটিয়ে দিলাম। রোহিত এসে বলল আমাদের ৮০ ওভার দরকার ওদের অলআউট করার জন্য। (যে চিন্তার আগ্রাসী ব্যাটিং)। আমাদের চিন্তা ছিলো ওদের ২৩০ রানের ভেতর আটকে রাখলেও চলবে। রোহিত নেমেই প্রথম বলে ছক্কা মারল, সে টোন সেট করে দিল।’
দ্বিতীয় ইনিংসে কেবল ৪৭ ওভার টিকতে পেরেছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ১৪৬ রানের বেশি স্কোরবোর্ডে জমা করতে পারেনি। এজন্য বোলারদের কৃতিত্ব দিয়েছেন অশ্বিন, ‘আমাদের যেরকম বোলিং আক্রমণ আছে তার অংশ থাকতে পারা গর্বিত। জেসি (জাসপ্রিট বুমরাহ) যেভাবে বল করল, সিরাজ যেভাবে অংশ নিল, আকাশ যেভাবে অবদান রাখল। জাড্ডুকে (জাদেজা) নিয়ে বলার কিছু নেই।’