বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে এডিবি

প্রকাশিত: ৪:৪৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৮, ২০২৪

সেলিনা আক্তার:

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক –এডিবি । অন্যদিকে মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস বাড়িয়েছে। গতকাল বুধবার এডিবি প্রকাশিত এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুকে ( এডিও) এই সংশোধনের তথ্য রয়েছে।

এডিবি বলেছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির আকার গত অর্থবছরের চেয়ে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়বে । গত এপ্রিলে প্রকাশিত এডিওতে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ছিল। মূলত উৎপাদন বা ম্যানফ্যাকচারিং খাতে নিম্নমুখী সংশোধনের কারণে এডিবি সামগ্রিক প্রবৃদ্ধির অনুমান কমিয়েছে এডিবি।
সরকার চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। গত জুন মাসে বাংলাদেশের আরেক উন্নয়ন সহযোগী বিশ্বব্যাংক ২০২৪–২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৭ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দেয়।

এডিবি সম্প্রতি শেষ হওয়া ২০২৩–২৪ অর্থবছরেও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি নিয়ে তাদের আগের পূর্বাভাসের নিম্নমুখী সংশোধন করেছে। তবে কত শতাংশ হবে তা উল্লেখ করে নি। গত এপ্রিলে এডিবি গত অর্থবছরে বাংলাদেশে ৬ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়। তবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ( বিবিএস) সাময়িক হিসাবে প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ।

মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে এডিবি বলেছে, বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার পরও বাংলাদেশে গত অর্থবছরের ১১ মাসে প্রায় দুই অংকের মূল্যস্ফীতি হয়েছে। খাদ্যর দামের কারণে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বহাল থাকতে পারে বলে প্রতিবেদনে পূর্বাভাস রয়েছে। গত এপ্রিলে এডিবি বাংলাদেশে ২০২৪–২৫ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নেমে আসতে পারে বলে পূর্বাভাস দেয়। জুলাইয়ের প্রতিবেদনে সংস্থাটি পূর্বাভাস সংশোধন করে বলেছে, মূল্যস্ফীতি এর চেয়ে বেশিও হতে পারে।

কোনো দেশে একটি নির্দিষ্ট সময়ে যে পরিমাণ পণ্য ও সেবা উৎপাদিত হয় তার আর্থিক মূল্য হচ্ছে জিডিপির আকার। জিডিপি প্রবৃদ্ধি বলতে আগের সময়ের চেয়ে আর্থিক মূল্য কতটুকু বাড়লো তার শতকরা হার। তবে প্রবৃদ্ধি হিসাব করার সময় মূল্যস্ফীতির হার বাদ দেওয়া হয়, যাতে অর্থনীতির আকার প্রকৃত অর্থে কী পরিমাণ বাড়ল তার হিসাব পাওয়া যায়।