ক্রীড়া ডেস্ক:
ভয়াবহ ব্যাটিং ব্যর্থতায় গতকাল রাতে আফগানিস্তানের কাছে ৯২ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। যদিও একসময় মনে হচ্ছিল সহজ জয় পাচ্ছে শান্তবাহিনী। দুই উইকেটে ১২০ রান তুললেও হঠাৎ খেই হারিয়ে ৩৪ ওভার ৩ বলে ১৪৩ রানে অলআউট বাংলাদেশ। মাত্র ২৩ রানের মধ্যে বাংলাদেশ হারায় শেষ ৮ উইকেট। অবিশ্বাস্যই বলা যায়! এ জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে এগিয়ে যায় আফগানরা।
খেলায় জয়-পরাজয় থাকবে। তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এবারের হারটা কোনোভাবেই মানতে পারছেন না বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। ম্যাচে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সার্বিক পারফরম্যান্সে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সাবেক এই অধিনায়ক।
অনেক দিন ধরেই আইসিসির ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার হিসেবে কাজ করা বুলবুল বুধবার শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের আমন্ত্রণে। মাঠে বসেই দেখেছেন বাংলাদেশের নাটকীয় পরাজয়।
খেলা দেখে চরম হতাশ হয়ে ফিরে যাওয়ার আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে সাবেক অধিনায়ক বুলবুল লিখেছেন, ‘ছয় বছর পর আজকে শারজাহতে আফগানিস্তান বোর্ডের আমন্ত্রণে গিয়ে মাঠে বসে বাংলাদেশ দলের ম্যাচ দেখলাম। জয়-পরাজয় তো থাকতেই পারে, কিন্তু অধিনায়কত্ব আর ব্যাটিং পরিকল্পনা দেখে সত্যিই বিস্মিত হয়েছি। সবকিছুই যেন ক্লান্ত দেখাচ্ছিল—শরীরী ভাষা, বলের প্রতি মনোযোগ, প্রি-বল রুটিন, পুরোটা মিলিয়ে পরিকল্পনা খুবই দুর্বল মনে হয়েছে। আশা করি আমরা খুব শীঘ্রই এই অবস্থার উন্নতি করতে পারব।’
এছাড়া বাংলাদেশের ঘন ঘন কোচ পরিবর্তনেরও সমালোচনা করেছেন বুলবুল। গণমাধ্যমকে তিনি বলছিলেন, ‘আমি কোচ পরিবর্তন করার পক্ষে না। কেননা কোচ পরিবর্তন করা মানে একজন ডাক্তার পরিবর্তন করা। একটা কোচ তার প্লেয়ারদের শুধু স্কিল নিয়ে কাজ করে না। প্লেয়ারদের সাইকোলজি নিয়েও কাজ করে। ঘনঘন কোচ পরিবর্তন একটা দলের জন্য অবশ্যই ক্ষতিকর ব্যাপার। এখানে পারফরম্যান্সের একটা বড় ঘাটতি হয়।’
বুলবুল আরও বলেন, ‘জাতীয় দলে যারা কোচ হয় তারা কিন্তু স্কিল শেখায় না, ট্যাকটিস শেখায় না। তারা কাজ করে মানসিক অবস্থা নিয়ে। এখানে ভাষা একটা বড় ব্যাপার, সংস্কৃতি একটা বড় ব্যাপার। আর যদি নতুন কোচ বারবার পরিবর্তন হতে থাকে এতে কোনো উপকার হয় না, অপকারই হয়।’