বাংলাদেশের রেটিং পুনর্বিবেচনার আহ্বান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের

প্রকাশিত: ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৯, ২০২৫

সেলিনা আক্তার:

 

বিশ্বের কয়েকটি প্রধান ঋণমান নির্ণয়কারী সংস্থা কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের রেটিং ধারাবাহিকভাবে কমিয়েছে। সংস্থাগুলোকে দেশের রেটিং পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় কয়েকটি রেটিং এজেন্সির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বর্তমান বিভিন্ন সূচকের অগ্রগতি নিয়ে রেটিং এজেন্সিগুলো সন্তুষ্ট। তাদের বাস্তব চিত্র তুলে ধরে রেটিংয়ের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আরিফ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ ২০২৬ সালের নভেম্বরে জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে যাবে। তখন বৈদেশিক ঋণ বা সহায়তা পেতে ভালো রেটিং গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণে রেটিং এজেন্সিগুলোকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করার কথা বলা হয়েছে।

গত বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশের ঋণমান কমিয়ে দেয় বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঋণমান যাচাইকারী কোম্পানি এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের ঋণমান ‘বিবি মাইনাস’ থেকে কমিয়ে ‘বি প্লাস’ করে। ফিচ গত মে মাসে দ্বিতীয়বার বাংলাদেশের ঋণমান কমিয়ে দেয়। তখন প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের ফরেন কারেন্সি ইস্যুয়ার ডিফল্ট রেটিং (আইডিআর) ‘বিবি মাইনাস’ থেকে ‘বি প্লাস’ করে। যদিও দেশের অর্থনীতি-সম্পর্কিত পূর্বাভাস স্থিতিশীল রাখে তারা।

মূল্যস্ফীতি, ডলারের দর, নতুন টাকা ও দুর্বল ব্যাংক নিয়েও কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র। তিনি বলেন, নতুন গভর্নর দায়িত্ব নেওয়ার পর কোনো একটি নতুন নোট ছাপানো হয়নি। একটি ডিজাইনের নোট ছাপাতে ন্যূনতম ১৮ মাস সময় লাগে। বাংলাদেশ ব্যাংক উদ্যোগ নিয়েছে একসঙ্গে ৯ ধরনের নোট ছাপানোর। মে মাসেই বাজারে নতুন নোট আসবে।

তিনি বলেন, দুর্বল ব্যাংকের অনিয়মের কারণে তারল্য সংকট হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা ছাপিয়ে সহায়তা দেয়। এসব ব্যাংকের প্রকৃত চিত্র দেখার জন্য টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে ব্যাংক রেজল্যুশন অ্যাক্ট করা হয়েছে। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কমানো যায়নি। তবে কিছুটা কমছে। ডলারের দর কিছুটা কমেছে।