ক্রীড়া ডেস্ক:
মুশফিকুর রহিম ভালো করতে না পারলেও দলের ভেতরে তাঁর উপস্থিতির ইতিবাচক একটা প্রভাব থাকে। সে জায়গায় শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে উইকেটরক্ষক ব্যাটারের ইনজুরিতে। লিটন কুমার দাস দলে নেই আগে থেকেই। স্বাস্থ্যগত কারণে যেতে পারেননি তিনি। গুরুত্বপূর্ণ এ দুই ক্রিকেটারের জায়গায় সুযোগ পাওয়া ক্রিকেটাররা যে বাজিমাত করবেন, সে রকম ব্যাটিং ‘ক্যারেক্টার’ দলে একজনও নেই। তাই পুরোনো গৎবাঁধা ছকে খেলার প্রস্তুতি নেওয়া বাংলাদেশের।
মেহেদী হাসান মিরাজ যদিও বলেছেন, ম্যাচের ছন্দ নিজেদের করে নিতে নতুনভাবে প্রস্তুতি নিয়েছেন। টাইগার এ অলরাউন্ডারের বক্তব্য ফাঁকা বুলির মতোই শোনাচ্ছে। কারণ মরুর বুকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই তো জয়ের স্বপ্ন মরীচিকা হয়ে গেছে। মরূদ্যানে পরাজয়ের কাঁটায় ক্ষতবিক্ষত হওয়া দলের সামনে আজ আবার সিরিজ বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ। জিতলে রক্ষা, হারলে সমালোচনার তীরে ক্ষতবিক্ষত হবে পুরো দল। নাজমুল হোসেন শান্ত বাহিনীর আশাবাদ ম্যাচ জিততে চাওয়া।
বাংলাদেশের ক্রিকেট আশার ভেলায় ভাসছে অনেক দিন হয়ে গেল। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এক দিনের ক্রিকেটে ভালো করতে পারছে না। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে আফগানিস্তানের কাছে সিরিজ হারের মধ্য দিয়ে কেলেঙ্কারির শুরু। বাংলাদেশ দল সেই থেকে কেন যেন কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারছে না। এশিয়া কাপ, ওয়ানডে বিশ্বকাপ কোথাও ভালো করতে পারেনি। যদিও এ দুই টুর্নামেন্টেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিতেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। শারজায় চলমান দ্বিপক্ষীয় সিরিজে জয়ের ধারাবাহিকতা রাখতে পারেনি। প্রথম ম্যাচে ভালো শুরু করেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৯২ রানে হারের লজ্জায় পড়ে। অথচ বোলাররা বেশ ভালো করেছিলেন। তিন পেসার মিলে ৯ উইকেট তুলে নিয়ে ২৩৫ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল আফগানিস্তানকে।
শারজার উইকেট স্পিনারদের ভালো করার রেকর্ড থাকলেও মেহেদী হাসান মিরাজ আর লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন ভালো করতে পারেননি। দু’জনে ২০ ওভার বল করে উইকেটশূন্য। অথচ সেই একই মাঠে আফগান স্পিনাররাই লন্ডভন্ড করে দেন বাংলাদেশের ইনিংস। ১০ উইকেটের ৯টিই গেছে তিন স্পিনারের দখলে। বাজিমাত করেন অখ্যাত অফস্পিনার আল্লাহ মোহাম্মদ গজনফর। রশিদ খানরা আজও যে হুমকি হয়ে উঠতে পারেন, মিরাজদের ভালো করেই জানা।
গতকাল ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমাদের সুযোগ আছে। একটি ম্যাচ হেরেছি, এখন দুটি ম্যাচ আছে। পরের ম্যাচটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একটু ব্যাকফুটে আছি। সাত-আট মাস আগে ওয়ানডে খেলেছিলাম। সবার ভেতরে ওই জিনিসটাও কাজ করছিল। প্রস্তুতিটা ওইভাবেই নিয়েছি। এই মাঠে একটি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে। ছন্দ নিজেদের দিকে কীভাবে নিতে হবে, সেটা আমরা প্র্যাকটিস করছি। আশা করি, ভালো কিছু হবে।’
প্রথম ম্যাচে ১৩ জনের স্কোয়াড ছিল বাংলাদেশ। পেস ও স্পিনে একজনও বিকল্প বোলার ছিল না নাহিদ রানা ও বাঁহাতি নাসুম আহমেদ ভিসা জটিলতায় নির্ধারিত সময়ে শারজাহ যেতে না পারায়। আজকের ম্যাচে তারা থাকলেও খেলার সম্ভাবনা কম। মুশফিকের চোটের কারণে একটি পরিবর্তন অবধারিত। কিন্তু সে জায়গায় নাসুমের খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। উইকেটরক্ষক ব্যাটার জাকের আলীর অভিষেক হতে পারে মুশফিকের জায়গায়। চোট নিয়ে দল থেকে মুশফিক ছিটকে যাওয়া নিয়ে আফসোস থাকলেও নতুন একজনকে দেখে নেওয়ার সুযোগ পাবে টিম ম্যানেজমেন্ট।