বাংলাদেশে বিনিয়োগ: সুযোগ দেখলেও দ্বিধায় বিদেশিরা

প্রকাশিত: ১২:১৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৩, ২০২৫

সেলিনা আক্তার:

 

বিনিয়োগ সম্মেলনে বিদেশি বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতির চেয়ে ব্র্যান্ডিং এর দিকে বেশি মনোযোগ ছিল অন্তর্র্বতী সরকারের। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা যেসব চ্যালেঞ্জের কথা বলেছেন সেদিকে নজর দেওয়ার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

৬ থেকে ১০ এপ্রিলের এই সম্মেলন শুধুমাত্র প্রেজেন্টেশন বা সভা সেমিনারের মধ্যে সীমাদ্ধ ছিল না। বিদেশ থেকে আসা বিনিয়োগকারী, উদ্যোক্তা , বিনিয়োগ বিষয়ক দপ্তরের কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞদের বাংলাদেশের ইপিজেডসহ বিভিন্ন বিনিয়োগ সাইটও ঘুরিয়ে দেখানো হয়।

এই সম্মেলনে প্রায় ৪০টি দেশের ৪৫০ জন বিনিয়োগকারী অংশ নেন। আর আয়োজন করে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। বিডা বলছে, তারা যেসব বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি পেয়েছে তা এখন নিয়মিত ট্র্যাকিং করবে। যোগাযোগ করবে। প্রতিশ্রুতিগুলো যাতে বাস্তব হয় সেই চেষ্টা করা হবে।

বিডা যা ভাবছে, বিনিয়োগকারীরা যা বলেছেন

সম্মেলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিডার কর্মকর্তারা জানান, সম্মেলনে আসা বিনিয়োগকারীদের বেশির ভাগ প্রশ্নই ছিল ব্যবসা ও বিনিয়োগ পরিবেশ নিয়ে। বিনিয়োগকারীরা জানিয়েছেন, এ দেশে বিনিয়োগের বড় বাধা নীতি ধারাবাহিকতার অভাব। এ ছাড়া রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, সমন্বয়হীনতা, দুর্নীতি, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, শুল্ক-কর, গ্যাস ও বিদ্যুতের সমস্যাও বিনিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করে।

সম্মেলনের শেষ দিনের সংবাদ সম্মেলনে বিডা জানায়, বাংলাদেশে আমরা কোন ধরনের বিনিয়োগ প্রত্যাশা করছি এবং সে জন্য কী পদক্ষেপ নিচ্ছি, সেগুলো বিনিয়োগকারীদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে।

বিডার নির্বাহী সদস্য শাহ মোহাম্মদ মাহবুব বলেন, সম্মেলনে কত বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছি, সেটি মুখ্য না। এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য ছিল সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের একটি পাইপলাইন তৈরি করা, যাতে তাদের ট্র্যাক করে পরবর্তীতে বিনিয়োগ নিশ্চিত করা যায়। আগের বিনিয়োগ সম্মেলনেও আমরা অনেক প্রতিশ্রুতি পেয়েছিলাম। কিন্তু এসব প্রতিশ্রুতি ট্র্যাক না করায় সেগুলো প্রতিশ্রুতি থেকে গেছে।

বিডার বিজনেস ডেভেলপমেন্ট প্রধান নাহিয়ান রহমান বলেন, সাধারণত একটি বিনিয়োগ আলোর মুখ দেখতে ১৮ থেকে ২৪ মাস সময় লাগে। এই সময়ের আলোকে সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের নিয়ে আমরা একটি সুস্পষ্ট পথনকশা তৈরি করব। যেসব বিদেশির কাছ থেকে বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে, নির্দিষ্ট সময় পরপর আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করব। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা প্রতিশ্রুতিগুলো প্রকৃত বিনিয়োগে রূপ দিতে চাই।

ব্রিফিং-এ বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী জানান, চীনের পোশাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হান্ডা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড বাংলাদেশে ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে। তাদের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে এর মাধ্যমে ১৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে।

তিনি জানান, বাংলাদেশে বিনিয়োগে বিদেশিরা আগ্রহ দেখাচ্ছে। ফার্মাসিউটিক্যাল, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, আইটি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছেন সম্মেলনে অংশ নেয়া বিনিয়োগকারীরা।

এ ছাড়া মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের কাছে একটি মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল স্থাপনের আগ্রহ দেখিয়েছে বৈশ্বিক বন্দর পরিচালনাকারী সংস্থা ডিপি ওয়ার্ল্ড। সংস্থাটিকে সার্বিক সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ।

আশিক চৌধুরী বলেন, যে দলই ক্ষমতায় আসুক, বিনিয়োগের স্বার্থগুলো অপরিবর্তিত রাখতে চায় বিডা। সে লক্ষ্যে সব রাজনৈতিক দলকে সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

সম্মেলনের একটি অধিবেশনে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, বিনিয়োগের বিদ্যমান বাধাগুলো চিহ্নিত করে সরকারের পক্ষ থেকে বিনিয়োগ পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে।

‘দারুণ সুযোগ’ থাকলেও ‘দ্বিধাগ্রস্ত’ জার্মান বিনিয়োগকারীরা

সম্মেলনে অংশ নিতে যারা ঢাকায় আসেন তাদের মধ্যে ছিল জার্মান এশিয়া প্যাসিফিক বিসনেস অ্যাসোসিয়েশন (ওএভি) এর একটি প্রতিনিধি দল। তারা ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিভিন্ন বাণিজ্য এলাকা পরিদর্শন এবং সম্মেলনে অংশ নেন।

তাদের মধ্যে অস্পিগ জিএমবিএইচ-এর সিইও থমাস ক্যোনিং ডয়চে ভেলকে বলেন, বাংলাদেশে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা ১১৪ মিলিয়ন, আর এখানে ৩৪ মিলিয়ন মানুষ মধ্যম আয়ের। এখানে যে কর্মী আছে তা মালয়েশিয়ার মোট জনসংখ্যার সমান। তাই বাংলাদের মতো একটি গতিশীল এবং ক্রমবর্ধমান বাজারে স্পষ্টতই প্রচুর ব্যবসায়িক সুযোগ আছে।

ক্যোনিং মনে করেন, এখন যে শুল্ক অস্থিরতা শুরু হয়েছে সেই প্রেক্ষাপটে ভোগ্যপণ্য, গৃহস্থালী যন্ত্রপাতি, ইলেকট্রনিক্স এবং শিল্প উপাদানের জন্য চীনের বিকল্প উৎপাদন স্থান হিসেবে বাংলাদেশের সম্ভাবনা আছে।

তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশের যে প্রতিষ্ঠানগুলো উৎপাদন বাড়াচ্ছে তারা বিশেষায়িত যন্ত্রপাতি এবং অটোমেশন প্রযুক্তির জার্মান সরবরাহকারীদের অংশীদার।

চিকিৎসা সরঞ্জাম বা বিলাসবহুল পণ্যের মতো বিশেষায়িত ক্ষেত্রে, বাংলাদেশে ‘মেড ইন জার্মানি’র উচ্চ আবেদন আছে।

তার মতে, আমলাতান্ত্রকি পদ্ধতি, অবকাঠামোত সমস্যা এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মতো কিছু বিষয় বাংলাদশকে আরো উন্নত করতে হবে। তাপরও বাংলাদেশে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ এবং জার্মান বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ বাড়ছে।

ওএভির নির্বাহী বোর্ড সদস্য আলমুট ব়্যােসনার মনে করেন, অল্প সময়ের মধ্যেই, অন্তবর্তীকালীন সরকার অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এই সরকারের প্রতিনিধিদের সাথে আমাদের একাধিক আলোচনার ফলে আমাদের মনে হয়েছে যে প্রয়োজনীয় কাঠামোগত পরিবর্তনগুলো মোকাবেলা এবং দেশে আরো বৈচিত্র্যময় বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য একটি স্থায়ী সংস্কার করতে তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দৃঢ় সংকল্প অনুভব করা যায়।

তিনি বলেন, তবে এশিয়া বা অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলির বিনিয়োকারীদের বিপরীতে, জার্মান কোম্পানিগুলি এই রাজনৈতিক ক্রান্তিকালে ব্যবসার সুযোগ খোঁজা বা সুযোগ কাজে লাগাতে দ্বিধাগ্রস্ত। সাম্প্রতিক অর্জন সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য জানানো এবং বাংলাদেশকে একটি আকর্ষণীয় বিনিয়োগ স্থান হিসেবে তুলে ধরার প্রয়োজন আছে।

বাংলাদেশে জার্মান বিনিয়োগে চলমাল শিল্প ও ব্যবসা সম্পর্কে তিনি জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৮০টি জার্মান কোম্পানির নিজস্ব কার্যক্রম, সহায়ক সংস্থা বা প্রতিনিধি অফিস রয়েছে। ভিয়েতনামে, গত ১০ বছরে জার্মান প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে এবং বর্তমানে ৫০০-এর কাছাকাছি।

বাংলাদেশে নতুন জার্মান বিনিয়োগের প্রশ্নে তিনি বলেন, বিনিয়োগ সম্মেলনে যোগ দিতে আসা প্রতিনিধি দলে সম্ভাবনাময় বিনিয়োগকারীদের পরিবর্তে, ব্যবসায়িক অংশীদার এবং গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, বাজার গোয়েন্দা, তথ্য এবং আর্থিক সহায়তা দানকারী সংস্থাগুলির প্রতিনিধি এবং সাংবাদিকরাও ছিলেন। বাংলাদেশে জার্মান বিনিয়োগের বৈচিত্র্য এবং বাণিজ্যের প্রচারে সক্রিয় শীর্ষস্থানীয় জার্মান ব্যবসায়িক সংগঠন হিসেবে ওএভি ঢাকায় জার্মান দূতাবাসের সঙ্গে যৌথভাবে এই সফর আয়োজন করে। লক্ষ্য ছিল জার্মান কোম্পানি এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বাংলাদেশের সংস্কার নীতি এবং বিনিয়োগ পরিবেশের একটি হালনাগাদ এবং সঠিক চিত্র দেওয়া।

বিনিয়োগের চ্যালেঞ্জ দূর করার পরামর্শ বিশ্লেষকদের

বাংলাদেশের শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর জাতীয় সংগঠন এফবিসিআই-এর সাবেক পরিচালক আবুল কাশেম খান মনে করেন, সম্মেলনটি বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং-এর জন্য খুবই ভালো হয়েছে। এখন প্রয়োজন সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগানো। বিনিয়োগকারীরা আসলেন, দেখলেন, জানলেন। একই সঙ্গে তারা যেসব চ্যালেঞ্জের কথা বলেছেন সেগুলো আমাদের দেখতে হবে।

তিনি বলেন, আসলে আমাদের এখানে ট্রেড লাইসেন্স, সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের অনুমতির জন্য সময় ক্ষেপণসহ আরো সমস্যা আছে। বিদুৎ এবং গ্যাসের সমস্যা আছে। আছে যোগাযোগের সমস্যা। এগুলো আমাদের কাটিয়ে উঠতে হবে। সম্মেলনের চলাকালেই যেভাবে গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে ঢাকাসহ সারাদেশে ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান অজুহাত তুলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, লুটপাট ও হামলার ঘটনা বিনিয়োগকারীদের নেতিবাচক মেসেজ দিয়েছে। এই ধরনের ঘটনা কঠোর হাতে দমন করতে হবে।

আর বিজিএমইএ এর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, আমাদের এখানে শুধু বিদেশি কেন অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগেরও ব্যাপক সম্ভাবনা আছে। দেশি বিনিয়োগকারীদের যে সমস্যা সেটা বিদেশি বিনিয়োগকারীদেরও সমস্যা। বিনিয়োগকারী বিনিয়োগের নিরাপত্তা চায়। সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

সম্মেলনে বিনিয়োগ পরিবেশ, সুযোগ সুবিধা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। আশা করি সেই অনুযায়ী কাজ হবে। আর সেটা হলে দেশি-বিদেশি উভয় বিনিয়োগই বাড়বে, বলেন তিনি।

বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, আমাদের অভ্যন্তরীণ এবং বিদেশি দুই ধরনের বিনিয়োগ দরকার। আমাদের জিডিপির মাত্র শূন্য দশমিক চার শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগ। সেই অবস্থায় বিনিয়োগ সম্মেলন চলাকালে গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদের নামে যে তাণ্ডব এখানে হলো তাতে বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীরা কী মেসেজ পেলেন?

বিনিয়োয়েগের পূর্বশর্ত হলো নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। আমরা একটা কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। ৫ আগস্টের পর অনেক শিল্প কারখানায় হামলা হয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে। সরকারের উচিত সেগুলো চালু করতে সহায়তা করা। আর নতুন করে যাতে হামলা না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থেকে ব্যবস্থা নেওয়া, বলেন তিনি।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ (বিস) এর গবেষণা পরিচালক ও অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবির নিজেও এই বিনিয়োগ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

তার কথা, এবার এই সম্মেলনের আয়োজনটি ছিল স্মার্ট ও ব্যতিক্রমী। বিভিন্ন পেজেন্টেশন এবং আলোচনার মধ্য দিয়ে বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশের আকর্ষণ তুলে ধরা গেছে। আর প্রফেসর ইউনূসের উপস্থিতি ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে। বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী সুপরিকল্পিতভাবে সব কিছু তুলে ধরেছেন। এতে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং ভালো হয়েছে।

এখানে কোরিয়া ও চীনসহ ইউরোপ অ্যামেরিকার বিনিয়োকারীরা এসেছেন। বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরা যদি পরিবেশ দিতে পারি তাহলে এখানে বিনিয়োগকারীরা আসবেন। আর যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চীনের যে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়েছে তাতে আমি মনে করি ১০০ কেন এক হাজার চীনা কোম্পানি এখানে আসবে, বলেন তিনি।

সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) এর নির্বাহী পরিচালক অর্থনীতিবিদ ড. সেলিম রায়হান বলেন, আসলে বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি আর গ্রাউন্ড রিয়েলিটি আলাদা কথা। আমরা অতীতেও দেখেছি এই ধরনের সম্মেলনে অনেক প্রতিশ্রুতি আসে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাস্তব বিনিয়োগ আসে না। কারণ এখানে বিনিয়োগকারীদের তিক্ত অভিজ্ঞতা আছ।

তিনি বলেন, এখানে বিনিয়োগে বাধা কোথায় সেটা নিয়ে অনেক গবেষণাও হয়েছে। এবারের সম্মেলনেও তা নিয়ে কথা হয়েছে। সরকার বাধা দূর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যদি বাধা দূর হয় তাহলে তো বিদেশি বিনিয়োগ আসবে।

জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের বাংলা সংস্করণের হয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন হারুন উর রশীদ স্বপন। এই প্রতিবেদনের সব ধরনের দায়ভার ডয়চে ভেলের।