বাংলাদেশ-কুয়েতের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
মোঃ সাইফুল ইসলামঃ
বাংলাদেশ দূতাবাস, কুয়েত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং কুয়েতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে।মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং কুয়েতের সঙ্গে সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করে।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুয়েতের সমাজ, পরিবার ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রী এবং মন্ত্রিপরিষদ বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী শেখ ফিরাস সৌদ আল-মালিক আল-সাবাহ।
বাংলাদেশ এবং কুয়েতের জাতীয় সংগীত বাজানোর মধ্য দিয়ে বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) মো. আশিকুজ্জামান তার বক্তব্যে প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য কুয়েতের সমাজবিষয়ক, পরিবার ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রী এবং মন্ত্রিপরিষদ বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী শেখ ফিরাস সৌদ আল-মালিক আল-সাবাহকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি কুয়েতে বসবাসরত প্রবাসী বংলাদেশিদের প্রতি অব্যাহত সমর্থনের জন্য কুয়েতের আমির শেখ মিশাল আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহ, কুয়েত সরকার এবং কুয়েতের জনগণের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, স্বাধীনতার পর কুয়েতই প্রথম উপসাগরীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৭৩ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশ এবং কুয়েত রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, রপ্তানি ও আমদানি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, জনশক্তি, কৃষি, শিক্ষা, পর্যটন এবং প্রতিরক্ষা খাতসহ বিস্তৃত ক্ষেত্রে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উপভোগ করছে।
রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন, কুয়েতের আমির শেখ মিশাল আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহ এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে কুয়েত এবং বিশ্বের সব বন্ধুপ্রতীম দেশকে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ এবং পারস্পরিক প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধির অংশীদার হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান।
বক্তৃতায় তিনি বাংলাদেশের পর্যটন খাতের ওপরও আলোকপাত করেন। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং বাংলাদেশিদের আতিথেয়তা উপভোগ করার জন্য সবাইকে বাংলাদেশ সফর করার আমন্ত্রণ জানান।সমাপনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত কুয়েতে বসবাসরত সব বাংলাদেশিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ হিসেবে গড়ে তুলতে যার যার অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ অবদান রাখতে আহ্বান জানান।