বাঘার চরাঞ্চলে পানিবন্দী কয়েক হাজার মানুষ

প্রকাশিত: ৩:৪০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৬, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দুই পাশে নদী। মাঝের উঁচু জায়গায় পানিবন্দী বাঘার লক্ষীনগর চরের প্রায় শতাধিক পরিবার। ক্রমাগত বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পানি প্রবাহের ফলে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা। শুধু লক্ষীনগর নয়, চরাঞ্চলের সব নিচু এলাকায় এখন পানি জমে বন্যা দেখা দিয়েছে। ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে এসব এলাকার মানুষজন।
শনিবার (৫ অক্টোবর) চরাঞ্চলের পানিবন্দী মানুষদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য আবু সাইদ চাঁদ।
বাঘা উপজেলার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল নিয়ে গঠিত চকরাজাপুর ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের বসবাস। পদ্মা ঘেঁষা ইউনিয়ন হওয়ায় প্রতি বছর এ অঞ্চলে কম-বেশি বন্যা হয়ে থাকে।এবারও যার ব্যত্যয় ঘটেনি। এ বছর হঠাৎ করে পদ্মায় পানি বাড়ায় ভাঙন দেখা দিয়েছে কালিদাস খালি, লক্ষীনগর, আতার পাড়া ও পলাশী ফতেপুরসহ বেশ কিছু এলাকায়। এতে প্রায় দেড় হাজার বিঘা ফসলী জমি ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। পানি উঠে গেছে বিদ্যালয় ও ধর্মীয় উপাসনালয়ে। তলিয়ে গেছে শত-শত বিঘা কলা বাগান। তবে এসব এলাকায় এখনো সরকারি উদ্যোগে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
এদিকে শনিবারে চরাঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে প্রায় ২শ পরিবারের মাঝে চাল, আটা, ডাল ও শুকনো খাবার পৌঁছে দিয়েছেন রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এবং সাবেক চারঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবু সাইদ চাঁদ।
আবু সাইদ চাঁদ বলেন, আমি দলের জন্য এক নিবেদিত কর্মী। সংগঠনকে টিকিয়ে রাখতে নিবিড় পরিশ্রম করি।

ত্রাণ বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন, বাঘা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফ আলী মলিন, যুগ্ম সম্পাদক মোকলেসুর রহমান মুকুল, চারঘাট পৌরসভার সাবেক মেয়র বিপুল হোসেন, বিএনপি নেতা জালাল উদ্দিন, সাবেক বাঘা পৌর কাউন্সিলর ও পৌর বিএনপির সভাপতি তফিকুল ইসলাম তফি, জেলা ছাত্রদল নেতা শামিম সরকার, উপজেলা বিএনপি নেতা সুরুজ জামান, শফিকুল ইসলামসহ অনেকে।

বাঘার উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরিকুল ইসলাম জানান, পদ্মায় পানি বৃদ্ধির কারণে বিভিন্ন ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে প্রায় ২শ মানুষ তাদের ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন। আমি ইতোমধ্যে শতাধিক পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছানোসহ তাদের জন্য খাবার ও আর্থিক সহায়তা চেয়ে একটি প্রতিবেদন জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি।