বাজারে চালের ঘাটতি নেই, দাম বৃদ্ধির যৌক্তিকতা নেই: বাণিজ্য উপদেষ্টা

প্রকাশিত: ১২:২১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৮, ২০২৫


নিজেস্ব প্রতিবেদক:

বর্তমানে বাজারে চালের কোনো ঘাটতি নেই। মজুদ পর্যাপ্ত, স্থানীয় উৎপাদনও যথেষ্ট। এমনকি এখন আমনের ভরা মৌসুম চলছে। এই প্রেক্ষাপটে চালের দাম বাড়ার পেছনে কোনো যৌক্তিক কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, বলে উল্লেখ করেছে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি এটিকে ‘অযৌক্তিক’ বলে আখ্যায়িত করেছেন এবং শিগগিরই এই দাম স্বাভাবিক হবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাজধানীর বেগুনবাড়ি দীপিকার মোড়ে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নাজিরশাইল ও মিনিকেট চালের দাম ভোক্তা পর্যায়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। পাইকারি পর্যায়ে মূল্যবৃদ্ধির হার খুচরা পর্যায়ের তুলনায় বেশি।

চালের দাম নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বাজারে আমদানি উদারীকরণের পরিকল্পনা করছে। শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘আমরা আলুর ক্ষেত্রেও উদারীকরণ নীতিমালা প্রয়োগ করেছি, যার ফলে আলুর দাম কমে গেছে। চালের ক্ষেত্রেও একই নীতি অনুসরণ করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, সাময়িকভাবে মজুদদারির কারণে বাজারে চালের দাম বেড়েছে। তবে এ সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও টিসিবি চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। বাজারে সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নত করতে এবং দামের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে ব্যাপক আমদানির প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, কিছু ব্যবসায়ী বাজারে চালের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে ভোক্তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন। তিনি এই ঘটনাকে ‘অন্যায় মুনাফার চেষ্টা’ হিসেবে অভিহিত করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোস্তফা ইকবালসহ টিসিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্য উপদেষ্টার ভাষ্যমতে, বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক এবং কোনো ঘাটতি নেই। দাম বাড়ার পেছনে মূলত মজুদদারির প্রভাব থাকতে পারে। আমদানি উদারীকরণ এবং বাজার পর্যবেক্ষণ জোরদারের মাধ্যমে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।