বাজার সিন্ডিকেটসহ যে কোনো অপতৎপরতা বন্ধে পুলিশ তৎপর রয়েছে: ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত: ৫:২২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১২, ২০২৩

সাইফুল ইসলাম:
ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, বাজারে সিন্ডিকেটসহ যে কোনো অপতৎপরতা বন্ধে পুলিশ তৎপর রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ও সরকার নির্ধারিত দাম কার্যকর না হওয়ার কারণ নির্ণয়ে ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিগণের সাথে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।


ডিএমপি কমিশনার বলেন, এই সভায় আমরা ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করেছি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, দুই সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি ও আমাদের পুলিশ অফিসারদের কথা শুনেছি। আলোচনায় উঠে এসেছে, বাজারে কোনো জিনিসের স্বল্পতা নেই, যথেষ্ট মজুদ ও পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। সংকট তৈরি হওয়ার কারণ নেই। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্বার্থান্বেষী মহলের কারণে বাজারে সংকট তৈরি হয়।


ডিএমপি প্রধান বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার সবসময় আন্তরিক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেও প্রতিনিয়ত বাজারের খোঁজখবর নিয়ে থাকেন, কোথাও কোন সমস্যা হচ্ছে কী না খোঁজ নেন। বাজারে কেউ যেন কোন ধরণের অপতৎপরতা তৈরি করতে না পারে তা প্রতিরোধ করার উদ্দেশ্যে আজ আমরা সকলকে নিয়ে আলোচনায় বসেছি। যে কোনো সিন্ডিকেট ও যে কোনো অপতৎপরতা সমূলে নষ্ট করার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) তৎপর আছে। যে কোনো সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার সক্ষমতা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রয়েছে।


হাবিবুর রহমান আরও বলেন, মাছ, চাল ও সবজি উৎপাদনে সারাবিশ্বে বাংলাদেশ তৃতীয়। ইলিশ মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম। দেশের দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি এমন থাকার কথা নয়। যা হয়েছে সেটা হলো সমন্বয়ের অভাব। সবাই একসঙ্গে কাজ করলে, সবাই সহযোগিতা করলে অবশ্যই বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও সিটি করপোরেশনের সঙ্গে বাজার মনিটরিংয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশও অংশগ্রহণ করবে।
যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস্) বিপ্লব কুমার সরকারের সঞ্চালনায় সভায় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, স্পেশাল ব্রাঞ্চ, ফায়ার সার্ভিস, বাণিজ্য মন্ত্রণালযয়, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব), জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ও ঢাকার বিভিন্ন থানা এলাকার ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি এবং ডিএমপির সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণ উপস্থিত ছিলেন।