বাবাসহ সালমান খানের কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর নেপথ্যের কারণ

প্রকাশিত: ৩:৪৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৭, ২০২৪

বিনোদন ডেস্ক:

বহু বছর ধরেই লরেন্স বিষ্ণোইয়ের টার্গেটে রয়েছেন সালমান খান। যতক্ষণ না কৃষ্ণসার হত্যার জন্য ক্ষমা না চাইছেন, ততক্ষণ রেহাই নেই সালমান ও তার পরিবারের। যদিও সালমানকে নির্দোষ দাবি করেছেন সেলিম খান। ভাইরাল হওয়া সেই বক্তব্য শুনে ক্ষুব্ধ হয়ে সালমান ও সেলিম খানের কুশপুত্তলিকা পোড়ালেন বিষ্ণোই সম্প্রদায়।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেলিম খান বলেছেন, ‘সালমান কখনো আরশোলাও মারেননি, কী করে এত বড় একটা পশু হত্যা করবে? সালমান কোনো অন্যায় করেননি, তাহলে কেন ক্ষমা চাইবে?’
এতে খেয়ে যায় বিষ্ণোইরা। শনিবার এই সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ জয়পুরে জড়ো হয়ে সেলিম খানের এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং কুশপুত্তলিকা পুড়িয়েছেন।

তাদের মতে, ‘আমরা বিষ্ণোই, আমরা কাউকে এভাবে মানহানি করি না। ২৬ বছর আগে যখন মামলা করা হয়েছিল, তখন বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের তৎকালীন বিধায়ক সহ অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। সেলিম খান মিথ্যা বিবৃতি দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারবেন না। সেলিম খানের বিবৃতিতে আমাদের সম্প্রদায় আঘাত পেয়েছে। আমরা কৃষ্ণসার মামলার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। আমরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করবো’
১৯৯৮ সালের সেপ্টেম্বরে রাজস্থানের যোধপুরে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ সিনেমার শুটিংয়ের ফাঁকে দুইটি কৃষ্ণ বা কালো হরিণকে গুলি করে শিকার করেন সালমান। এর ঠিক ১২ দিন পর ২৮ সেপ্টেম্বরে ঘোডা এলাকার একটি ফার্মে আরেকটি কৃষ্ণহরিণ শিকার করেন অভিনেতা। বিলুপ্ত প্রজাতির এ হরিণ বিষ্ণোই ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র। তারা মনে করেন, হিন্দুদের বিষ্ণোই গোত্রের প্রবক্তা ভগবান জাম্বেশ্বরের পুনরুত্থানের প্রতীক কৃষ্ণহরিণ। বিষ্ণোই গ্যাং তাই ধর্মীয় পবিত্রতা নষ্টের কারণ দেখিয়ে সালমানকে হত্যা করতে চাইছে।