ক্রীড়া ডেস্ক:
সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দিয়েছেন অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (২ নভেম্বর) বেলা ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। গত ৩০ নভেম্বর নেপালের দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় সাফ চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ নারী দল।
শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সদ্য সাফ জয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সবাই প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে তাদের স্বপ্ন এবং তাদের দৈনন্দিন সংগ্রামের কথা ভাগাভাগি করেন। সেখানেই জাতীয় দলের উইঙ্গার কৃষ্ণা রানী প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেন, এশিয়ার বাইরে তাদের জন্য একটি প্রীতি ম্যাচের ব্যবস্থা করতে। বিশেষ করে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী বার্সেলোনার বিপক্ষে খেলতে চান মেয়েরা।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ইউনূস বিজয়ী খেলোয়াড়দের বিভিন্ন দাবি ও কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং অগ্রাধিকারভিত্তিতে সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন। নারী ফুটবলারদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই সাফল্যের জন্য আমি পুরো জাতির পক্ষ থেকে তোমাদেরকে অভিনন্দন জানাই। জাতি তোমাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমাদের দেশের মানুষ সাফল্য চায়, আর তোমরা সেই সাফল্য এনে দিয়েছ।’
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ জানানোর জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমরা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি।
তিনি বলেন, ‘অনেক বাধা পেরিয়ে আমরা এই পর্যায়ে পৌঁছেছি। শুধু নারী ফুটবল দলই নয়, বাংলাদেশের নারীদের সামগ্রিকভাবে নানা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যেতে হয়।’
একই সঙ্গে সাবিনা বাংলাদেশের নারী ফুটবলে তার আগের প্রজন্মের অবদানের কথা স্মরণ করেন, যারা ফুটবলকে তাদের আবেগ হিসেবে নেওয়ার সাহস দেখিয়েছেন। সাবিনা বলেন, ‘তাদের মধ্যে অনেকেই প্রত্যন্ত এলাকা থেকে উঠে এসেছেন এবং তাদের পরিবারকে সমর্থন করার দরকার। আমরা যা বেতন পাই, তা দিয়ে পরিবারকে পর্যাপ্ত সহায়তা করতে পারি না। কারণ, আমরা বেশি কিছু পাই না।’
প্রধান উপদেষ্টা প্রত্যেক ফুটবলারের বক্তব্য ধৈর্য্য ধরে শুনেছেন। তাদের ব্যক্তিগত আশা এবং আকাঙ্খা, সংগ্রাম এবং দাবিগুলি আলাদা কাগজে লিখে রাখতে এবং সেগুলিকে তাকে জানাতে বলেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘তোমরা যা কিছু চাও তা লিখতে দ্বিধা করো না আমরা তোমাদের দাবিগুলো পূরণ করার চেষ্টা করব। যদি কিছু এখনই করা সম্ভব হয়, আমরা তা করব।’