নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে দেওয়া ‘তেলাপোকা মারার ওষুধের’ বিষক্রিয়ায় সহোদর দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় পেস্ট কন্ট্রোল সার্ভিস প্রতিষ্ঠান ডিসিএস অর্গানাইজেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফরহাদুল আমীনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার (১২ জুন) তাদের তিনদিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অপর দিকে তাদের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ জুন) তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদ তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে টাঙ্গাইল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
‘তেলাপোকা মারার ওষুধের’ বিষক্রিয়ায় গত রোববার ব্যবসায়ী মোবারক হোসেন তুষারের দুই ছেলে শাহিল মোবারত জায়ান (৯) ও শায়েন মোবারত জাহিনের (১৫) মৃত্যু হয়। মোবারক হোসেন ঢাকা রয়েল ক্লাব লিমিটেডের (উত্তরা) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। পরিবার নিয়ে তিনি বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বসবাস করেন। এ ঘটনায় তিনি ভাটারা থানায় মামলা করেন।
পুলিশ জানায়, পোকামাকড় মারতে মোবারক হোসেন নিজের বাসায় ওষুধ প্রয়োগে ‘ডিসিএস অর্গানাইজেন লিমিটেড’ নামে ওই কোম্পানিকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। সেই পেস্ট কন্ট্রোল কোম্পানির কর্মীরা পোকামাকড় নিধনের জন্য অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড ট্যাবলেট (গ্যাস ট্যাবলেট) ব্যবহার করেছিলেন। ওষুধ দেওয়ার ৬ ঘণ্টার মধ্যে ঘরে ঢুকতে নিষেধ করা হয়। কোম্পানির নির্দেশনা মেনে ১৫ ঘণ্টা পর পরিবারের সদস্যরা ঘরে প্রবেশ করেন। এরপরেই বিষাক্ত গ্যাসের বিক্রিয়ায় আক্রান্ত হতে শুরু করেন তারা।