বিএনপির আইনজীবী নেতা জয়নুল-নিতাই-খোকনের জামিন

প্রকাশিত: ৮:১১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৩, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চলতি বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের দিন প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও সহিংসতার ঘটনায় রমনা থানায় দায়ের করা নাশকতার পৃথক দুই মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী এবং যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকনের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আছাদুজ্জামানের উচ্চ আদালতের জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের বিশ হাজার টাকা মুচলেকায় ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন।


এর আগে এ সংক্রান্ত আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ৭ নভেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তাদের আগাম তিন সপ্তাহের জামিন দেন। একই সঙ্গে তিন সপ্তাহ শেষে মহানগর দায়রা জজ আদালতে তাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন।


প্রসঙ্গত, গত ২৮ অক্টোবর শনিবার বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে সংঘর্ষের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, বাস ভাঙচুরের অভিযোগে ২৯ অক্টোবর রমনা মডেল থানায় কাকরাইল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মোফিজুর রহমান একটি মামলা করেন।

রমনা থানায় আরেকটি মামলা করেন সিদ্বেশ্বরী পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. সহিদুল ওসমান মাসুম। মামলায় মির্জা ফখরুল ছাড়া দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৫৯ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। ফখরুল-আব্বাস ছাড়া মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, আহমেদ খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আব্দুস সালাম, ভিপি জয়নাল, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার ও সদস্য সচিব আমিনুল হক।


মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, রাজধানীর কাকরাইলে পুলিশ সদস্যদের হত্যার উদ্দেশ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো এবং কাকরাইলে বিচারপতিদের বাসভবন জাজেস কমপ্লেক্সের ভেতরে অনধিকার প্রবেশ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বাসভবনের নামফলকসহ বিল্ডিংয়ের বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর করে ক্ষতিসাধন করা হয়।

এছাড়া ভবনের সামনে ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়, যা ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি করে। মামলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আনা হয়েছে।