বিএনপি একটা জনবিচ্ছিন্ন দল হয়ে গেছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৬:৩১ অপরাহ্ণ, মার্চ ৭, ২০২৪

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, কোন দেশ কী বলল তা আমাদের কাছে মুখ্য বিষয় নয়। আমাদের মুখ্য বিষয়- জনগণকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব। আমরা আমাদের গণতন্ত্রের চর্চা কীভাবে আরও সুন্দর করব এগুলো আমাদের বিষয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে কুড়িগ্রামে কমিউনিটি পুলিশিং ও মাদকবিরোধী সমাবেশে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের আয়োজনে কুড়িগ্রাম সরকারি মাঠে এ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রাখার জন্য আমাদের একটা গঠনতন্ত্র রয়েছে। সেই ধারাকে অক্ষুন্ন রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী সবসময় জনগণের চিন্তা করছেন, জনগণকে কীভাবে আরও সম্পৃক্ত করবেন, দেশকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবেন তার চিন্তা করছেন।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, বিএনপি একটা জনবিচ্ছিন্ন দল হয়ে গেছে। আপনারা তাদের ধ্বংসলীলা দেখেছেন। তারা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এ দেশে এসেছিল। রক্তের গঙ্গা বইয়ে তাদের উৎপত্তি। তারা জনগণের চিন্তা করে না, তারা দেশের ক্ষমতায় বসতে চায়। ২০০৮-এর নির্বাচনে তারা মাত্র ৩০টি সিট পেয়েছিল। ২০১৪ সালে তারা নির্বাচন না করে ধ্বংসলীলা শুরু করল, মানুষ পুড়িয়ে মারা শুরু করল। এবার আমরা দেখলাম, একই কায়দায় তারা রক্তের হলিখেলা শুরু করল। ২৮ আগস্ট তারা ধ্বংসলীলা চালিয়েছিল।

তিনি বলেন, তাদের (বিএনপি) নেতা লন্ডন থেকে দিক নির্দেশনা দেয়। কিন্তু তাদের নেতাকর্মীর কী হবে সেটা চিন্তা করে না। তাদের ভুল যদি উপলব্ধিতে না আসে তাহলে তাদের অস্তিত্ব থাকবে বলে মনে হয় না।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয় নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন নৌকা প্রতীক থাকবে না। স্থানীয় সরকারে যে পারবে সে নির্বাচন করবে। তাই যারা বলেন যে আমাদের দেশে গণতন্ত্রের চর্চা হয় না, গণতন্ত্রের চর্চা নেই- তাদের দেশে কতখানি আছে তা নিয়ে আমার প্রশ্ন আছে।

কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কুড়িগ্রাম-২ আসনের এমপি ডা. হামিদুল হক খন্দকার, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের এমপি সৌমন্দ্রে প্রসাদ পান্ডে, কুড়িগ্রাম-৪আসনের এমপি বিপ্লব হাসান পলাশ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেনসহ অনেকে। সমাবেশে শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।