সিটি নির্বাচন বানচালের জন্য বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেনসহ দলের ক্যাডাররা পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগ কর্মীদের ওপর হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচটি ইমাম।
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয়ে কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এই অভিযোগ করেন।
এইচটি ইমাম বলেন, আমাদের কর্মীদের ওপর পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা করা হয়েছে। সে তথ্য প্রমাণ নিয়ে আমরা কমিশনে এসেছিলাম। এর আগে বিএনপির প্রতিনিধি দল এসেছিল, তাদের অনেক অভিযোগ ছিল। আসলে চোরের মায়ের বড় গলা। কারণ, গতকালের হামলা সাজানো ও পূর্বপরিকল্পিত। বিএনপির ক্যাডাররা এমনভাবে এটি করেছেন যে তারা আগে থেকেই তৈরি হচ্ছিলেন।
তিনি বলেন, ২০১৪/১৫ সালে অগ্নি সন্ত্রাসের সময় যারা দেশের বিভিন্ন স্থানে যারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে ছিল, তাদের ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে। বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করতে তারা ঢাকায় অবস্থান নিয়েছেন। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রসীরা এমন কিছু করতে পারেন, যাতে নির্বাচন বানচাল হয়ে যায়। কমিশনকে আমরা এসব তথ্য দিয়েছি।
এইচটি ইমাম বলেন, এখানে সবচেয়ে বড় ভূমিকা বোধহয় রাখছে জামায়াত-শিবিরের সশস্ত্র ক্যাডাররা। তাদেরই আনা হচ্ছে। গতকাল যে আক্রমণ করা হয়েছে, যে অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলোর তথ্য আমরা নির্বাচন কমিশনকে দিয়েছি। আমাদের অনেকেই আহত হয়েছেন। যাদের শরীরে গুলির আঘাত আছে, তারা হাসপাতালে আছেন। সেসব প্রমাণও আমাদের কাছে আছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, হামলাকারীদের বিএনপি-জামায়াত শিবিরের সশস্ত্র সন্ত্রাসী এবং অগ্নি সন্ত্রাসী অভিযোগ করে অবিলম্বে তাদেও আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
প্রতিনিধি দলের অপর সদস্যরা হলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ও এস এম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়–য়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিয়াজুল কবির কাওছার প্রমুখ।