সাইফুল ইসলাম:
পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্তের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন ভুক্তভোগী ও তাদের স্বজনরা। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে তারা অবরোধ শুরু করেন। অবরোধের কারণে শাহবাগ মোড়ের আশপাশের সড়কগুলোতে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর অন্তত ৬০০-৭০০ সদস্য শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। তারা বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চেয়ে বিভিন্ন স্লোগান ও বক্তব্য দেন। ‘যতক্ষণ ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত না হয়, ততক্ষণ তারা লড়াই চালিয়ে যাবেন’ বলে ঘোষণা দেন।
বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পুনর্তদন্ত, চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহাল ও কারাগারে বন্দিদের মুক্তিসহ সাত দফা দাবি নিয়ে চাকরিচ্যুত সাবেক বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিডিআর) ৯ সদস্য গতকাল বুধবারও শাহবাগে পদযাত্রা করেছেন। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী তাঁরা প্রথমে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার জড়ো হন। পরে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে পদযাত্রা করেন। পদযাত্রাটি শাহবাগ থানার সামনে এলে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যস্থতায় একটি প্রতিনিধি দল তাদের দাবি-দাওয়া সম্বলিত একটি স্মারকলিপি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে যান। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত, চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহাল, কারাবন্দিদের মুক্তিসহ সাত দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। বুধবার দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহিন সরকারের নেতৃত্বে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল যমুনায় গিয়ে এ স্মারকলিপি দেন।
এছাড়া একই দাবিতে ওই দিন অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তাঁদের পরিবার ও স্বজনেরা। বুধবার রাতে তাঁরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান করেন।
আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যে তাদের দাবি পূরণ না হলে ‘শাহবাগ ব্লকেড’সহ লাগাতার কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিডিআর জওয়ানরা। চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের অন্যান্য দাবি হলো– রিমান্ডে বিডিআর সদস্যদের মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনের মাধ্যমে বিচারসহ মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ, কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে ক্ষতিগ্রস্ত বিডিআর সদস্যদের দাবি অন্তর্ভুক্ত ও ২৫ ফেব্রুয়ারিকে সেনা হত্যা দিবস ঘোষণা।