বিতর্কিত নির্বাচন ঘিরে ভেনেজুয়েলায় চলছে বিক্ষোভ, বাড়ছে গ্রেপ্তারের সংখ্যা
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
ডেস্ক রিপোর্ট:
বিতর্কিত নির্বাচন ঘিরে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলায় গতকাল শনিবারও হাজারো মানুষ বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো তাঁর সমর্থকদের বলেছেন, ভোটের ফলাফলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করার সময় প্রায় দুই হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত রোববার ভেনেজুয়েলায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়। পরদিন সোমবার দেশটির নির্বাচন কর্তৃপক্ষ জানান, মাদুরো ৫১ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। বিরোধী জোটের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী এডমান্ডো গঞ্জালেজ উরুতিয়া পেয়েছেন ৪৬ শতাংশ ভোট। সমালোচকেরা এই কমিশনকে ক্ষমতাসীন সমাজতান্ত্রিক দলের সমর্থক বলে ধিক্কার জানিয়ে আসছে।
মাদুরোকে জয়ী ঘোষণা করে প্রকাশিত ফলাফলকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে ভেনেজুয়েলা। বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কারিনা মাচাদো দেশজুড়ে গণবিক্ষোভের ডাক দেন।
গত শুক্রবার নির্বাচন কর্তৃপক্ষ পুনরায় ভোটের ফলাফল জানায়। সেখানেও দুই প্রার্থীর মধ্যে ভোটের ফলাফলে প্রায় একই ব্যবধান দেখানো হয়।
বিরোধী জোট ভোটের ওই ফলাফল নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ করে বিক্ষোভ শুরু করে। মাদুরো সরকার বিক্ষোভকে মার্কিন–সমর্থিত অভ্যুত্থানের চেষ্টা বলে তা দমনে নিরাপত্তা বাহিনীকে মাঠে নামায়।
রাজধানী কারাকাসে সমর্থকদের সমাবেশে মাদুরো বলেন, ‘এবার কোনো ক্ষমা হবে না।’
বিক্ষোভ চলাকালে ‘অপরাধের’ সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রায় দুই হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি ‘অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া’র কথাও বলেছেন।
মাদুরোর সমর্থকদের দাবি, তাঁরা গণতন্ত্রকে রক্ষা করছেন। অন্যদিকে বিরোধী জোটের সমর্থকরা ন্যায়বিচারের দাবিতে মিছিল করেছেন। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কারিনা মাচাদো। তিনি আত্মগোপন থেকে বের হয়ে কারাকাসের রাস্তায় নেমে আসেন এবং বিক্ষোভে যোগ দেন।
কারাকাসে মাচাদো বলেন, ‘ঠিক যেমন নির্বাচনে বিজয় অর্জন করতে আমাদের দীর্ঘ সময় লেগেছে, এখন এমন একটি পর্যায় এসেছে, যখন আমরা দিন দিন একটু একটু করে সামনে অগ্রসর হচ্ছি, যদিও আজকের মতো এতটা দৃঢ় আমরা আগে কখনো ছিলাম না, কখনো না।’
গত বৃহস্পতিবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত এক কলামে জীবন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগার কথা জানিয়েছিলেন মাচাদো। বলেছিলেন, এ কারণে তিনি আত্মগোপনে চলে গেছেন। শনিবার তাঁকে রাস্তায় দেখে তাঁর সমর্থকেরা উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন।
কারাকাস ছাড়াও শনিবার ভালেনসিয়া, মারাকাইবো ও সান ক্রিস্তোবালে বিক্ষোভ হয়েছে।