কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে বিধিনিষেধ না মানায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) নগরের ১৬ থানা ও ট্রাফিক বিভাগ মিলে ১০টি মামলা ও ৪টি গাড়ি আটক করেছে।
শুক্রবার (২ জুলাই) সকাল থেকে নগরের প্রবেশপথসহ মোট ২০টি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে সড়কে চলাচলকারী ব্যক্তিগত যানবাহন ও রিকশায় তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে সিএমপি।
সকালে এরই অংশ হিসেবে সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীরের নেতৃত্বে নগরের টাইগারপাস চেকপোস্টে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করেন সিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথ।
এ সময় সড়কে চলাচলকারী কিছু কিছু প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল ও রিকশা যাত্রীকে অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
অভিযানে দু’জন আরোহী নিয়ে চলাচলকারী বেশ কিছু মোটরসাইকেল থামিয়ে একজন করে নামিয়ে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে করোনা মোকাবেলায় মাস্ক বিতরণসহ চালক-যাত্রী প্রত্যেককে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
তল্লাশি অভিযান পরিচালনাকালে উপস্থিত ছিলেন সিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-দক্ষিণ) এনএম নাসিরুদ্দিন, টিআই (কোতোয়ালী) প্রশান্ত কুমার দাশ, টিআই (টাইগারপাস) শেখ ফরহাদুজ্জামান, ট্রাফিক সার্জেন্ট জাকির হোসাইন, ট্রাফিক সার্জেন্ট মো. ওয়াসিম আরাফাত, আমজাদ হোসেন ও ইজাজ আহমেদসহ প্রমুখ। এবারের কঠোর লকডাউনে পুলিশ, র্যাব-বিজিবির সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করেছে পুলিশ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর বের হলে তাদের আটক করছে পুলিশ।
মামলা ও গাড়ি আটকের বিষয়ে শুক্রবার (২ জুলাই) রাত পৌনে ৮টার দিকে সিএমপির মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) আরফাতুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, লকডাউন অমান্য করে বিনা প্রয়োজনে গাড়ি নিয়ে বাসা থেকে বের হাওয়ায় ট্রাফিক বিভাগ ৫টি মামলা করেছে। একই সময়ে ডবলমুরিং থানায় ৫টি মামলা হয়। মোট ১০টি গাড়ি মামলা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, লকডাউন অমান্য করে বিনা প্রয়োজনে বাসা থেকে গাড়ি নিয়ে বের হওয়ায় ট্রাফিক বিভাগ ৪টি গাড়ি আটক করেছে।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) বিধিনিষেধ না মানায় সিএমপি মামলা করে ৮৮, গাড়ি আটক করে ৫৪টি ও আটক করেছিল ২১ জনকে।