বিধি ভেঙে কাউন্সিলরের ছেলে বর্জ্য ঠিকাদার

প্রকাশিত: ১১:৩২ পূর্বাহ্ণ, মে ১৫, ২০২৪

জেলা প্রতিনিধি,গাজীপুরঃ 

বিধি ভেঙে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বর্জ্য সংগ্রহ ও অপসারণের ঠিকাদারি পেয়েছেন এক ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ছেলে। এ ঘটনায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে।

মহানগরের উত্তর খাইলকৈর এলাকায় বাসাবাড়ি ও হাটবাজারের বর্জ্য সংগ্রহ ও অপসারণের জন্য কয়েকটি শর্ত জুড়ে দিয়ে প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা গত ৯ এপ্রিল ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমানের ছেলে ফাহমিদুর রহমানের মালিকানাধীন রহম এন্টারপ্রাইজের নামে ওই ঠিকাদারি দেন।

এ ঘটনায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বর্তমান ঠিকাদার ও বোর্ডবাজার এলাকার জামাল খান। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তিনি গাজীপুর শহরে হাবিবুল্লাহ সরণিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন লঙ্ঘন ও প্রভাব খাটিয়ে কাউন্সিলর মিজানুর রহমান তাঁর ছেলে ফাহমিদুর রহমানের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রহম আলী এন্টারপ্রাইজকে বর্জ্য সংগ্রহ ও অপসারণ কাজের দরপত্র পাইয়ে দেন। সিটি করপোরেশনের চিঠি পাওয়ার পর থেকেই তারা তাঁকে সরে যাওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছেন।

সংবাদ সম্মেলনে জামাল খান বলেন, আইনে স্পষ্ট বলা আছে ‘কোনো ব্যক্তি মেয়র বা কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হইবার জন্য এবং উক্তরূপ মেয়র বা কাউন্সিলর পদে থাকিবার যোগ্য হইবেন না, যদি তিনি বা তাঁর পরিবারের কোনো সদস্য সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশনের কার্য সম্পাদনের বা মালামাল সরবরাহের জন্য ঠিকাদার হন বা ইহার জন্য নিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অংশীদার হন বা সিটি করপোরেশনের কোনো বিষয়ে তাহার কোনো প্রকার আর্থিক স্বার্থ থাকে বা তিনি সরকার কর্তৃক নিযুক্ত অত্যাবশ্যক কোনো দ্রব্যের ডিলার হন।’ জামাল খান বলেন, এ টেন্ডারে আরও কয়েকজন ঠিকাদার অংশ নিতে গেলে স্থানীয় কাউন্সিলরের অনাপত্তিপত্রের প্রয়োজন হয়। কিন্তু কাউন্সিলর মিজানুর তাঁর ছেলে ছাড়া অন্য কাউকে অনাপত্তিপত্র দেননি। পরে কাউন্সিলরের ছেলে ফাহমিদুরের প্রতিষ্ঠানকে বর্জ্য সংগ্রহ ও অপসারণ কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, আইনের বিষয়টি তাঁর জানা নেই। কোনো অভিযোগ পেলে তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিজানুর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ব্যস্ততার কথা বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। শেষ পর্যন্ত তিনি এ বিষয়ে কথা বলেননি।