উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে সুনামগঞ্জের নদনদীর পানি বেড়েই চলেছে। শহরের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি ৪৬ সেন্টিমিটার ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার শক্তিয়ারখলা পয়েন্টে যাদুকাটা নদীর পানি বিপদসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এরই মধ্যে শহরের নিম্নাঞ্চল নবীনগর, ষোলঘর, কাজীর পয়েন্ট, পশ্চিমবাজার, উকিলপাড়া, শান্তিবাগ, কিচেন মাকের্ট, জগন্নাথ বাড়িসহ বেশ কিছু আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকা ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
পানিতে জেলার সদর উপজেলা তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, জামালগঞ্জ, দোয়ারাবাজার ও ছাতক উপজেলার প্লাবিত হয়েছে। এসব রাস্তা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর সড়কের আনোয়ারপুর সংযোগ সড়ক এবং বিশ্বম্ভরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের শক্তিয়ারখলা অংশে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ছাতক, দোয়ারাবাজার ও সুনামগঞ্জ ছাতক সড়কে পানি ওঠে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ৭২ ঘণ্টায় ভারতে চেরাপুঞ্জিতে ৯০২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়া সুনামগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সবিবুর রহমান বলেন, বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। একারণে হাওরবেষ্টিত তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, জামালগঞ্জ ধর্মপাশার উপজেলার পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসমিন নাহার রুমা।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ জানান, পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য উপজেলা পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন সার্বক্ষণিক পানি বৃদ্ধির বিষয়ে মনিটরিং করছে। আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রীও মজুত রয়েছে। এখন পর্যন্ত মানুষের বাড়ি ঘরে পানি প্রবেশের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।