নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয় থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সব ধরনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে বিবৃতি দিতে ৬ সমন্বয়ককে জোর করা হয়নি বলে জানিয়েছে তাদের পরিবারের সদস্যরা। আজ সোমবার সমন্বয়কদের সঙ্গে দেখা করে পরিবারের সদস্যরা এ দাবি করেন।
এর আগে গতকাল রোববার রাতে ডিবি হেফাজত থেকেই সব ধরনের কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ক। তাদের স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলন ও তার প্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনেকেই অপ্রত্যাশিতভাবে আহত-নিহত হয়েছেন। এছাড়া রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন সহিংস ঘটনা ঘটেছে। আমরা এ সকল অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত বিচারের দাবি জানাই।
আমাদের প্রধান দাবি ছিল কোটার যৌক্তিক সংস্কার, যা ইতোমধ্যে সরকার পূরণ করেছে। এখন শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দ্রুত শক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানাই। সার্বিক স্বার্থে এই মুহূর্ত থেকে আমাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি।
লিখিত বার্তায় স্বাক্ষর করেন আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, মো. আবু বাকের, আসিফ মাহমুদ ও নুসরাত তাবাসসুম।
একইদিন বিকেলে ডিবি হেফাজতে থাকা কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে দেখা করতে যান স্বজনরা। তবে সমন্বয়কদের সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তারা। বিকেলে আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামসহ অন্যদের স্বজনরা মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ের পাশের রাস্তায় জড়ো হন। বেশ কিছুক্ষণ অবস্থানের পরও ডিবি কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে না পেরে কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিভাবকরা বলেন, ডিবি হেফাজতে সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত তারা। দ্রুত সময়ের মধ্যে সব সমন্বয়কারীদের মুক্তিরও দাবি জানান অভিভাবকরা।