বিমানবন্দরে প্রবাসী-বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আলাদা কাউন্টার হচ্ছে

মুহাম্মদ ফারুক খান

প্রকাশিত: ২:১৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩০, ২০২৪

মোঃ সাইফুল ইসলাম :

প্রবাসী ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিমানবন্দরে আলাদা কাউন্টার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

প্রবাসী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিমানবন্দরে আলাদা কাউন্টারের দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন কি না- জানতে চাইলে বিমানমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে প্রবাসী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিমানবন্দরে আলাদা কাউন্টার করার ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বিমান ও পর্যটন খাতে ভারতের সঙ্গে আমাদের যে কো-অপারেশনগুলো চলছে, সেগুলো অব্যাহত থাকুক এবং আগামী দিনে আরও নতুন নতুন কি করা যায়- সেগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন প্রায় ২০০ এর ওপরে ফ্লাইট বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে চলাচল করে। এটা আরও বৃদ্ধি করার প্রয়োজনীয়তা আছে কি না, তারা আলোচনা করেছেন। আমরা বলেছি আমরাও এটা দেখব। এছাড়া ট্যুরিজম সেক্টর নিয়েও আলোচনা করেছি। কীভাবে উভয় দেশের মধ্যে বিশেষ করে ভারত থেকে বাংলাদেশে আরও বেশি করে পর্যটক আসতে পারে তার জন্য পর্যটন মেলার ব্যবস্থা দুই দেশই করব। সেখানে ভিসাকে সহজ করার জন্য কী করা যায়, সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’

ভারতে বাংলাদেশিদের অন-অ্যারাইভাল ভিসা পাওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করব। অন-অ্যারাইভাল ভিসার ব্যাপারটি শুধু ভারতের সঙ্গেই না, সারা পৃথিবীর সঙ্গেই, বিশেষ করে টুরিস্টরা যাতে অন-অ্যারাইভাল ভিসা পায়, সেগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করব। কেবল তো আমরা শুরু করেছি। এগুলো নিয়ে পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করব।

বিমানের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির বিষয় দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, ‘বিমানের অব্যবস্থাপনা কতটা আছে, সেটি আরও খতিয়ে দেখব। আমি মনে করি বিমান বেশ ভালোই চলছে। লাভজনকভাবেই চলছে। যাত্রী সেবা দিয়ে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আপনাদের বুঝতে হবে, আপনারা যদি বিমানকে নিয়ে খুব বেশি আশা পোষণ করেন, এমিরেটস বা এদের মত তুলনা করেন, তাহলে কিন্তু সঠিক হবে না। লিমিটেড এয়ারক্র্যাফট নিয়ে চলতে হয়। এয়ারক্র্যাফটে টেকনিক্যাল (সমস্যা) মাঝে মাঝে হয়ে যায়। তাছাড়া শীতকালে কুয়াশার কারণে সমস্যা হয়। এগুলোকে আপনাদের মনে রাখতে হবে। এগুলোর জন্য অনেক সময় দেরি হয়, যাত্রায় অন্যান্য সমস্যাগুলো তৈরি হয়। এর মধ্যেও বিমান চেষ্টা করে যাচ্ছে। আরও উন্নতি কীভাবে করা যায়, নতুন বিমান কেনার ব্যাপার নিয়ে আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি।’

বিমানমন্ত্রী বলেন, ‘হ্যাঁ, বিমানের মধ্যে কিছু সমস্যাও তো আছে। সেই সমস্যাগুলো ইতোমধ্যে চিহ্নিত করেছি। বেশ কিছু লোককে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। আপনারা দেখেছেন, কিছুদিন আগে দু’জন পালিয়ে গেছেন। তাদের ব্যাপারে আমরা কঠোর অ্যাকশনে গিয়েছি। যে বাংলাদেশে আছে, তাকে অ্যারেস্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যে কানাডায় পালিয়ে গেছে, ইতোমধ্যে তার পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। এ ধরনের অন্যান্য ব্যাপার যেখানে কিছু দুর্নীতি ব্যাপার আছে, এগুলোকে আমরা খতিয়ে দেখছি এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

থার্ড টার্মিনালের নতুন করে বাজেট বাড়ানো হয়েছে। বাজেট বাড়ানোকে যৌক্তিক মনে করেন কি না- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘নতুন করে বাজেট বাড়ানোর প্রয়োজন আছে কি না সেটা তো প্রত্যেকেই দেখছেন। আমাদের সঙ্গে এটা নিয়ে যখন আলোচনা হবে, তখন আমরা দেখব যে বাজেট বাড়ানো লাগবে কি না। নতুন নতুন উপাদান যুক্ত হচ্ছে, তো সেখানে হয়তো বাজেট বাড়ানোর প্রয়োজন হতে পারে। অথবা বর্তমানে যেটা আছে সেটার মধ্য থেকে করা যেতে পারে। যেভাবে বিমানের লাভ হবে সেভাবেই আমরা করব।’