বিমান থেকে স্টান্ট করতে গিয়ে ‘অবচেতন’ দশা টম ক্রুজের

প্রকাশিত: ৩:৫৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৫

বিনোদন ডেস্ক:

 

হলিউড অভিনেতা টম ক্রুজ। অভিনয়ের পাশাপাশি অকল্পনীয় বিভিন্ন স্টান্টের জন্যও বিশ্বজোড়া খ্যাতি কুড়িয়েছেন তিনি। চলতি বছরই মুক্তি পেতে যাচ্ছে তাঁর ‘মিশন: ইম্পসিবল’ ফ্র্যাঞ্চাইজির ৮ম কিস্তি ‘মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’। যেখানে অভিনেতাকে দেখা যাবে জল, স্থল ও আকাশপথের বিভিন্ন দৃশ্যে। আসন্ন এই ছবিতে বাইপ্লেন (দুই পাখাওয়ালা বিমান) স্টান্ট করাটা তাঁর জন্য ছিল রীতিমতো এক অগ্নিপরীক্ষা।

সম্প্রতি বিনোদনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেডলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই ঘটনা জানিয়েছেন অভিনেতা নিজেই। সিনেমাটির টিজার-ট্রেলারে প্রকাশ্যে আসা স্টান্টগুলোর একটিতে তাঁকে দেখা যায়, দক্ষিণ আফ্রিকার আকাশে ১০ হাজার ফুট উঁচুতে উড়ন্ত ত্রিশের দশকের বোয়িং স্টিয়ারম্যান বিমানের ডানায় ঝুলে আছেন!

এই অভিনেত্রীকে প্রথম মোবাইল ফোন উপহার দিয়েছিলেন টম ক্রুজএই অভিনেত্রীকে প্রথম মোবাইল ফোন উপহার দিয়েছিলেন টম ক্রুজ
দ্রুত গতির এই স্টান্ট টম ক্রুজের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। যেখানে তিনি প্রতি ঘন্টায় ১২০ মাইল বেগে বয়ে যাওয়া বাতাসের মুখোমুখি হয়েছেন।

অভিনেতা বলেন, ‘আপনি যখন আপনার মুখ আটকে রাখেন, ঘন্টায় ১২০ থেকে ১৩০ মাইল বেগে যান, তখন অক্সিজেন পাওয়া যায় না।’

এ জন্য অবশ্য টম ক্রুজকে বাড়তি প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তাই আমাকে কীভাবে শ্বাস নিতে হয়, সেই প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছিল। একসময় আমি শারীরিকভাবে অবচেতন হয়ে পড়েছিলাম; ককপিটেও ফিরতে পারিনি।’

নাটকীয় এই দৃশ্য যে সিনেমাটির সবচেয়ে রোমাঞ্চকর মুহূর্তের একটি হতে চলেছে, তাতে ভক্তদের অবাক হওয়ার কিছু নেই! কারণ ভক্তরা টমকে এর আগেও এমন নানা দৃশ্যে দেখেছেন।

প্রসঙ্গত, এবারের কিস্তি পরিচালনা করেছেন ক্রিস্টোফার ম্যাককুয়ারি। এটি আগামী ২৩ মে মুক্তি পাবে। এর আগে এই ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রথম ছবি ‘মিশন: ইম্পসিবল (১৯৯৬)’ পরিচালনা করেছিলেন ব্রায়ান ডি পালমা। নতুন কিস্তির ট্রেলারে সেটারও ফুটেজ ব্যবহৃত হয়েছে।