
ডেস্ক রিপোর্ট:
ভারতের উত্তর প্রদেশে এক বিয়ের আসরে ঘটেছে অবিশ্বাস্য এক কাণ্ড। বিয়ের সব প্রস্তুতি ছিল মেয়েকে ঘিরে, অথচ বিয়ের পর দেখা গেল কনে আসলে তার মা। ঘটনাটি ঘটেছে মীরাট জেলার ব্রহ্মপুরী এলাকায়। খবর এনডিটিভির।
২২ বছর বয়সী মোহাম্মদ আজিমের বিয়ে নির্ধারিত ছিল শামলি জেলার ২১ বছর বয়সী মানতাশার সঙ্গে। দিনও চূড়ান্ত ছিল—৩১ মার্চ। সবকিছু পরিকল্পনামতো চললেও আচমকা মোড় নেয় পরিস্থিতি।
বিয়ের সময় কাজি যখন কনের নাম বলেন ‘তাহিরা’, তখনই আজিমের মনে সন্দেহ জাগে। কারণ তিনি জানতেন তার কনের নাম মানতাশা। তবে তখন কিছু বলার সুযোগ না থাকায় বিষয়টি এড়িয়ে যান। কিন্তু বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে কনের ঘোমটা তোলার পর চমকে ওঠেন আজিম।
ঘোমটার আড়ালে ছিলেন মানতাশার মা, ৪৫ বছর বয়সী বিধবা তাহিরা। কনের পরিবর্তে তার মায়ের সঙ্গে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে বুঝতে পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন আজিম।
তিনি অভিযোগ করেন, এই বিয়ে ছিল সুপরিকল্পিত প্রতারণা। তার ভাই নাদিম এবং ভাবি সাইদা এই ফাঁদ পেতেছিলেন। আজিম জানান, তিনি প্রতিবাদ করলে ভাই ও ভাবি তাকে ধর্ষণের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন।
আজিম আরও বলেন, এই বিয়ের পেছনে ৫ লাখ টাকার লেনদেনও হয়েছিল। এ নিয়ে তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
তবে ব্রহ্মপুরীর সার্কেল অফিসার সৌম্য আস্থানা জানান, বিষয়টি নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে আপসে সমাধান হয়েছে। আজিম তার অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন এবং এখন আর কোনো আইনি পদক্ষেপ নিতে চান না।
ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। অনেকেই একে বাস্তবের সিনেমার চিত্র বলেও মন্তব্য করেছেন।